নিজস্ব প্রতিবেদন : আধার নম্বর বা আধার কার্ড (Aadhaar Card) ভারতের প্রতিটি নাগরিকের কাছেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। আধার কার্ড না থাকলে একদিকে যেমন রেশনের খাদ্য সামগ্রী পাওয়া যায় না ঠিক সেই রকমই ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজে পড়াশোনা, পরীক্ষা সরকারি ভর্তুকি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ঠিক সেই রকমই বর্তমানে নতুন এক সমস্যা তৈরি হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এখন আধার কার্ড বাতিল হওয়ার নোটিশ যেতে শুরু করেছে। আধার কার্ড বাতিল হওয়ার এই নোটিশ রীতিমতো রাতের ঘুম কাড়তে শুরু করেছে ওই সকল মানুষদের। কেননা তাদের তরফ থেকে অনেকেই দাবি করছেন, আধার কার্ড বাতিল হওয়ার কারণে তারা রেশন পরিষেবা (Ration Service) থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কিং কাজে সমস্যায় পড়ছেন।
আধার কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে আধার কার্ড বাতিল হওয়ার যে নোটিশ পাঠানো হচ্ছে সেই নোটিশ পাঠানো হয়েছে মূলত আধার নিয়মের ২৮এ ধারায়। এই নিয়ম তখনই কার্যকর করা হয় যখন কাউকে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে শনাক্ত করা হয় অথবা ভারতে থাকার জন্য যে শর্ত প্রয়োজন তা তিনি পূরণ করতে না পারার কারণে। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন একটি পোর্টাল খুলে সেখানে আবেদন জানানোর জায়গা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, আধার বাতিল হয়ে যাওয়ার পর কি আর রেশন পাওয়া যাবে না?
আধার বাতিল হওয়া সংক্রান্ত ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের যে সকল এলাকায় ঘটেছে তার মধ্যে রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জুথিহাটি গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দাদেরও। তবে এই সকল মানুষেরা যাতে রেশন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আধার নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলেও যেন ঐ সকল মানুষদের রেশন দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা না হয়। অর্থাৎ আধার বাতিল হলেও রেশন পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।
একদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন পোর্টাল চালু করার যেমন নির্দেশ দিয়েছেন এবং ব্লকে ব্লকে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, ঠিক সেই রকমই পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং অবস্থা বুঝে ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।’ তবে রেশন পরিষেবার ক্ষেত্রে এখন যে নিয়ম রয়েছে তাতে বায়োমেট্রিক ম্যাচ করার পর রেশন দেওয়া হয়। সুতরাং এই পরিস্থিতির মোকাবিলা কিভাবে হবে সেই দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। তবে রেশন পরিষেবা বন্ধ হবে না বলেই জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে।