হিমাদ্রি মন্ডল : দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য গত বছর জুলাই মাসে বীরভূম জেলা বিজেপির প্রাক্তন জেলা সাধারণ সম্পাদক কালোসোনা মন্ডল এবং প্রাক্তন সম্পাদক দেবাশীষ মিত্র ওরফে পলাশ মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি। এরপর দীর্ঘ ৮ মাস পর শনিবার সেই বহিষ্কার প্রত্যাহার করা হলো।
বহিষ্কার প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। বহিষ্কার প্রত্যাহারের খবর পেয়ে কালোসোনা মন্ডল কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রাজ্য ও জেলা সভাপতিকে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দুই নেতার দলে প্রত্যাবর্তন বীরভূম জেলা বিজেপিকে বেশ কিছুটা অক্সিজেন দিলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা।
বীরভূম জেলা বিজেপির অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হিসাবে পরিচিত কালোসোনা মন্ডল। তাকে একাধিকবার বিভিন্ন সভা মঞ্চ থেকে শাসক দলের নেতাকর্মীদের হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেছে তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও তিনি সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করার দাবিতে জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে গেলে দুষ্কৃতীদের হা’মলার শিকার হয়েছিলেন। যার পর থেকে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়। কালসোনা মন্ডলই এক সময় জোর গলায় বলেছিলেন, ‘মনিরুল ইসলামকে বিজেপিতে নেওয়া হলেও জেলা বিজেপি তাকে মানবে না।’
তবে জেলার এই পরিচিত মুখের সাথে বিজেপির সম্পর্কে তাল কাটে ২০২০ সালের জুলাই মাসে। যে সময় বিজেপির জেলা সভাপতি ছিলেন শ্যামাপদ মন্ডল। জুলাই মাসের ২৮ তারিখে তৎকালীন জেলা সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করে কালোসোনা মন্ডল এবং দেবাশীষ মিত্রকে দল থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দেন। তাদের দুজনের উপর দল বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছিল।
তবে দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও কালোসোনা মন্ডল বহিস্কৃত থাকাকালীনও বিজেপির শ্রী বৃদ্ধির জন্য একাধিক কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। যার পরে শনিবার এই বহিষ্কারের নির্দেশ প্রত্যাহারের পর খুশির হওয়া তাদের মধ্যেও।
বহিষ্কার প্রত্যাহারের পর এই কালোসোনা মন্ডল জানিয়ে দেন, “পঞ্চায়েত ভোটের মতই জীবনমৃত্যু পায়ের ভৃত্য করে লড়াই করবো। কারণ পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই দুরাচারী সরকারকে সরাতেই হবে। তার জন্য যা করতে হয় করবো।”
পাশাপাশি তাকে কেন ছড়ানো হয়েছিল সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, “কারণ আমি বলতে পারবো না। কারণ বলতে পারবেন তৎকালীন জেলা সভাপতি।”