যেখান থেকে খুশি ফর্ম নিয়ে আবেদন করলেই মিলবে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে রাজ্যের মহিলাদের হাত খরচের জন্য মাসে মাসে টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, সাধারণ ক্যাটাগরির মহিলাদের মাসে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে এবং তপশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের মাসে মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে এসেছেন ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’।

এই প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ শুরু হবে আগামী ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। প্রকল্পের টাকা দেওয়া শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ইতিমধ্যেই অজস্র মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে ফর্ম সংগ্রহ করে তা ফিলাপ করতে শুরু করেছেন। কিন্তু জেনে রাখা জরুরি, যেখান থেকে খুশি ফর্ম নিয়ে আবেদন করলেই টাকা পাওয়া যাবে না। টাকা পেতে হলে নির্দিষ্ট ফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

কোথায় পাওয়া যাবে সেই ফর্ম?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, “দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য আলাদা কাউন্টার থাকবে, সবাইকে প্রথমেই সেখানে যেতে হবে। সেখানে গেলেই একটি ফর্ম পাওয়া যাবে। সেই ফর্মে একটি নির্দিষ্ট নম্বর থাকবে। সেই নম্বরের রেকর্ড সরকারের কাছেও থাকবে।”

আর এই ফর্ম কোথাও থেকে জেরক্স অথবা ডুপ্লিকেট সংগ্রহ করে ফিলাপ করে জমা দিলে কোনভাবেই টাকা পাওয়া যাবে না। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই ফর্ম কোনও ভাবে জেরক্স বা ডুপ্লিকেট করা যাবে না। এই ফর্ম ছাড়া অন্য কোনও ফর্ম নেওয়াও হবে না। কেউ যাতে এই ফর্মের অপব্যবহার করতে না পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা।”

কিন্তু কেন ডুপ্লিকেট অথবা জেরক্স ফর্ম কার্যকর হবে না? সেটাও স্পষ্ট করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ফর্মটা পাওয়ার পর আপনারা ওখানেই ফর্মটা ফিলাপ করে জমা দেবেন। মনে রাখবেন, ফর্মের সঙ্গেই কম্পিউটার জেনারেটেড ইউনিক নম্বর থাকবে। এটার সঙ্গে আধার কার্ডও লিঙ্ক করে দেওয়া হবে। এই নম্বরটাই ফর্ম ফিলাপের জন্য স্বীকার্য হবে। ঘুরপথে যদি কেউ অন্যভাবে ফর্ম জোগাড় করে তা জমা দেওয়ার চেষ্টা করে, সেটা কিন্তু মেনে নেওয়া হবে না। শুধুমাত্র দুয়ারে সরকার শিবির থেকেই ফর্ম নিতে হবে।”