Advertisements

Blackmail: স্বামীদের ডিভোর্স দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করত টাকা, স্ত্রীয়ের জালিয়াতির শিকার ৮ জন স্বামী

Prosun Kanti Das

Published on:

Blackmail: স্বামীদের ডিভোর্স দিয়ে ব্ল্যাকমেল করে আদায় করত টাকা, স্ত্রীয়ের জালিয়াতির শিকার ৮ জন স্বামী। একদিকে যখন মেয়েরা নারী স্বাধীনতা, নারী নিরাপত্তা ইত্যাদি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ঠিক তখনই প্রকাশ্যে এলো এক স্বৈরাচারী নারীর কাহিনীও। সম্প্রতি এক তরুণীর বিরুদ্ধে একের পর এক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। শিকার হয়েছেন সাত জন স্বামী। অষ্টম স্বামীর অভিযোগে শ্রীঘরে বন্দী হলেন সেই তরুণী। ডিভোর্স অর্থাৎ বিবাহ বিচ্ছেদ এবং খোরপোশ আদায়ের বিষয়টিকে রীতিমতো জালিয়াতির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন এই তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের নরসিংদি জেলায়।

Advertisements

একের পর এক জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের নরসিংদী জেলার বাসিন্দা মুন্নি খানের নামে। তার বয়স ২৭ বছর এইটুকু বয়সের মধ্যেই করে ফেলেছেন বড়সড় কাণ্ডকারখানা। মেয়েদের পক্ষে থাকা আইনকে ব্যবহার করেছেন নিজের স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে, ঠকিয়েছেন সাত জন স্বামীকে। এরপর অষ্টম স্বামীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা শুরু হলে মুন্নি খানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান তার অষ্টম স্বামী মেহেদী হাসান। যার বয়স ৩০ বছর।

Advertisements

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাংলাদেশের চরআমলাব গ্রামের বাসিন্দা কাজল মিয়ার সন্তান। অন্যদিকে অভিযুক্ত মুন্নি খান বাংলাদেশের চরআড়ালিয়া গ্রামের মোহাম্মদ দানিস মিয়ার কন্যা। মেহেদী হাসানের ক্ষেত্রেও এটি প্রথম বিয়ে নয়। মুন্নি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। বাকি সাত জন স্বামীর মতন এইবারও স্বেচ্ছায় মেহেদী হাসানকে ডিভোর্স দেয় মুন্নি। কিন্তু মেহেদী হাসান ও তার প্রথম স্ত্রীর কিছু ব্যক্তিগত, অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি তিনি নিজের কাছে নিয়ে নেন। তাও আবার মেহেদী হাসানের ফোন থেকেই।

Advertisements

আরো পড়ুন: ভারতের বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতকেই দোষ! বন্যার জন্য ভারতকে ‘অমানবিক’ বলল বাংলাদেশ

ডিভোর্সের পর সেই সমস্ত অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে মুন্নি। মেহেদী হাসানের কাছে গোপনীয়তা রক্ষার বিনিময়ে দাবি করা হয় ৫ লক্ষ টাকা। মেহেদী হাসান কিছু টাকা দেয় তাকে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয় মুন্নি খানের হাতে। কিন্তু তারপরেও শান্ত হয়নি মুন্নি। সে আরো টাকা দাবি করতে থাকে। এরপরই নরসিংদী থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তার অষ্টম স্বামী মেহেদী হাসান মেহেদী হাসান নরসিংদী থানায় পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রক আইনে অভিযোগ করে মুন্নি খানের নামে।

এ বিষয়ে মেহেদী হাসানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুন্নি। কিন্তু শুধু তার সাথেই নয় ব্ল্যাকমেলিং (Blackmail) এর এই ঘটনা ঘটেছে তার প্রাক্তন ৭ স্বামীর সাথেও। প্রথমে বিয়ে করে। এরপর কিছুদিন যেতে না যেতেই সেই স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে কাবিননামা আদায় করে মুন্নি। শুধু এখানেই থেমে থাকে না। তাদের প্রত্যেকের ব্যক্তিগত কিছু ভিডিও নিজের কাছে রেখে দেয় এবং সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে মুন্নি। নিজেদের সম্মান বাঁচাতে মুন্নির কাঙ্খিত টাকা তাকে দিয়েও দেয় তার স্বামীরা। এই একই ঘটনা ঘটছিল মেহেদী হাসানের সাথেও। তাই বাধ্য হয়ে মুন্নির নামে থানায় অভিযোগ জানায় সে। মেহেদী হাসানের করা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে মুন্নি খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আদালতের নির্দেশে আপাতত তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়েছে।

Advertisements