Peon: লিখতে পড়তে না জেনেই দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৯৯.৭% নম্বর! বিতর্ক শুরু রাজ্যে

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

working as a peon without knowing how to read and write and getting 99.7% marks in the 10th class exam: জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক পরীক্ষা। দশম শ্রেণী উত্তীর্ণ হবার এই পরীক্ষায় ধরা পড়লো বিরাট গাফিলতির নমুনা। সম্প্রতি একটি চমকে দেওয়ার মতন ঘটনা সামনে এসেছে। এক শিক্ষার্থী দশম শ্রেণীর পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৯৯.৭% নম্বর পেয়ে। সেই ফলাফলের উপর ভিত্তি করে পেয়েছেন পিয়নের (Peon) চাকরিও। কিন্তু অবাক করা বিষয়টি হলো এই ব্যক্তি একেবারেই অক্ষরজ্ঞানহীন। না জানেন পড়তে, না জানেন লিখতে। শুনতে অবাক লাগলেও ঘটনাটা কিন্তু একেবারেই সত্যি।

Advertisements

কি ভাবছেন? এত বড় দুর্নীতি নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গেই হয়েছে তাই তো? কিন্তু না, ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকে। ওই ব্যক্তির নাম প্রভু লক্ষীকান্ত লোকারে। বয়স ২৩ বছর। কর্ণাটকের বাসিন্দা লক্ষীকান্ত তার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯৯.৭% নম্বর পেয়ে। অথচ তিনি লিখতে, পড়তে একেবারেই জানেন না। এত বেশি নম্বর পাওয়ার কারণে তিনি পিয়নের (Peon) চাকরিও জুটিয়ে ফেলেছেন কম বয়সেই। তাও আবার আদালতের পিয়নের চাকরি।

Advertisements

২০২৪ সালের ২২ শে এপ্রিল আদালতের পিয়নের কাজে নিযুক্ত হবার জন্য একটি চূড়ান্ত মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানেই নাম ছিল প্রভু লক্ষীকান্ত লোকারের (Peon)। অনেক বেশি নাম্বার পাওয়ার কারণে মেধা তালিকায় তার নাম থাকা খুব একটা অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। কিন্তু গলদ তো রয়ে গেছে গোড়াতেই। কিভাবে একজন একেবারে অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষ এত বেশি নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়? সেই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজছেন সকলে। ছোটবেলায় খারাপ নম্বর পেলেও, বড় হয়ে ভালো রেজাল্ট করার নমুনা রয়েছে অনেক। কিন্তু তা বলে একেবারে অক্ষরজ্ঞানহীন মানুষ কিভাবে পরীক্ষায় এত বেশি নম্বর পেতে পারে? তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Mathematics Book WBBSE: ‘লাটে উঠেছে পড়াশোনা’! মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অঙ্ক বইয়ে বড় ভুল, সামনে আসতেই প্রশ্ন শিক্ষকদের

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তার (Peon) একাডেমিক স্কোর নিয়ে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের উপর এই নির্দেশ বহাল রয়েছে। ২৬ শে এপ্রিল ২০২৪ এ এই বিষয়টির উপর ভিত্তি করে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রভু লক্ষীকান্ত লোকারে নাকি সপ্তম শ্রেণী অব্দি সাধারণভাবে পড়াশোনা করেছেন। তারপর অষ্টম, নবম না পড়েই সোজা দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় বসেন তিনি। এবং সে বছরই অস্বাভাবিক রকম ভালো ফলাফল করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।

মাধ্যমিকের মোট ৬২৫ নম্বরের পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৬২৩ নম্বর। যে ব্যক্তির একাডেমিক স্কোর এতো ভালো, সেই ব্যক্তি ইংরেজিতো অনেক দূরের কথা কন্নড় বা হিন্দি ভাষার মতো স্থানীয় ভাষাও পড়তে পারেন না। তার সাথে যারা চাকরি পেয়েছেন সেই ব্যক্তিরাও এই একইভাবে অসৎ উপায় চাকরি পেয়েছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া লক্ষীকান্ত লোকারের (Peon) হাতের লেখার সঙ্গে উত্তরপত্রের হাতে লেখা মিলিয়ে দেখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারক রায় দেবার সময় জানান এই ধরনের জালিয়াতির ঘটনা সত্যিকারের মেধাবী চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

Advertisements