নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি ভারতে। স্বাভাবিকভাবেই পরিষেবার পরিপ্রেক্ষিতে ভারতে ডাকঘরের সংখ্যাও অনেক বেশি। আবার ভারতে ডাক পরিষেবা কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। একসময় চিঠি আদান-প্রদান থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কাজের জন্য ডাকঘরই ছিল একমাত্র ভরসা। যদিও বর্তমানে ইন্টারনেট দুনিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ফলে ডাকঘরের প্রয়োজনীয়তা অনেক কমেছে।
প্রয়োজনীয়তা কমলেও ভারতীয় ডাক পরিষেবা এবং ডাকঘর এখনো সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসাবে জায়গা করে রয়েছে। এরই মধ্যে আবার বেশ কিছু ডাকঘর এখন পর্যটন কেন্দ্রেও পরিণত হয়েছে। এসবের মধ্যে যেমন হিমাচল প্রদেশের হিকিম গ্রামের ডাকঘর। এই ডাকঘরটি বিশ্বের উচ্চতম ডাকঘর হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে। এরই মধ্যে আরও একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জায়গা করে নেওয়া ডাকঘর হল ভাসমান ডাকঘর।
বিশ্বে একমাত্র একটি জায়গাতেই এই ভাসমান ডাকঘর রয়েছে। সেই জায়গাটি আবার রয়েছে ভারতে। বহু মানুষ রয়েছেন যারা বিশ্ব তথা ভারতের একমাত্র ভাসমান এই ডাকঘর সম্পর্কে জানেন না। বিশ্বের একমাত্র ভাসমান এই ডাকঘরটি রয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরের ডাল লেকে গেলেই এই ভাসমান ডাকঘরের দেখা পাওয়া যাবে।
ভূস্বর্গে ঘুরতে গিয়ে বহু পর্যটকদের শিকারায় চড়ে ভূস্বর্গের স্বাদ নিতে দেখা যায়। এছাড়াও শিকারায় দোকান করা, ফুলের ডালি সাজিয়ে এনে তা বিক্রি করা ইত্যাদি রয়েছে। সেই রকমই এমন শিকারাতেই রয়েছে বিশ্বের একমাত্র ভাসমান ডাকঘরটি।
World's only floating post office in Kashmir on World Post Dayhttps://t.co/uBuWEw8AB4 pic.twitter.com/f0jYZRTun2
— Yeni Şafak English (@yenisafakEN) October 11, 2022
দূরে থেকে দেখলে এটিকে আর পাঁচটা শিকারার মতোই দেখায়। তবে এর সামনে রয়েছে ইন্ডিয়া পোস্টের বোর্ড। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই ভাবেই ডাক পরিষেবা দিয়ে আসছে এই ভাসমান ডাকঘর। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই ডাকঘরের অবস্থা সংকটজনক হয়ে পড়ার পর ২০১১ সালে তা নতুন করে সুসজ্জিত করা হয়।