নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহণ করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay) বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। এই সকল প্রকল্প চালু করা হয়েছে মূলত রাজ্যের বাসিন্দাদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য। রাজ্য সরকার এখনো পর্যন্ত যে সকল প্রকল্প চালু করেছে তার মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী এবং লক্ষ্মীর ভান্ডার। তবে এসবকে পিছনে ফেলে রাজ্য কাঁপাচ্ছে রাজ্য সরকারের আরও একটি প্রকল্প।
রাজ্য কাঁপানো রাজ্য সরকারের যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে সেই প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে মাসে ১৫০০ টাকা পাওয়া যায়। একেবারে ঘরে বসে এই টাকা পেতে পারেন উপভোক্তারা। প্রতি মাসে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকা পাওয়া যায় সেই জায়গায় রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পটি প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা দিয়ে সবাইকে পিছনে ফেলে দিয়েছে।
রাজ্য সরকারের এমন প্রকল্প কোনটি? টাকার অঙ্ক শোনার পর আশা করা যায় সবার মধ্যেই কৌতুহল জন্মাতে শুরু করেছে। এই প্রকল্পটি বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য রাজ্য সরকার চালু করেছে। প্রকল্পের জন্য অনলাইনে আবেদন করার ব্যবস্থাও রেখেছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে যারা নিজেদের নাম নথিভূক্ত করতে চান তাদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৫। আবেদনকারীর ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে অষ্টম শ্রেণী পাশ। এর পাশাপাশি আবেদনকারীকে হতে হবে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা এবং কোন চাকরির তালিকায় যেন তার নাম নথিভুক্ত না থাকে।
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে দিতে হবে শিক্ষাগত সার্টিফিকেট, প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, স্থায়ী বাসিন্দার প্রমাণ পত্র সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র। যে সকল ইচ্ছুক বেকার যুবক-যুবতীরা এই টাকা পেতে চান তারা অনলাইনে আবেদন করতে পারেন https://employmentbankwb.gov.in/ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
এখন প্রশ্ন হল রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পটির নাম কি? বেকার যুবক-যুবতীদের মাসে মাসে ১৫০০ টাকা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই যে প্রকল্প চালু করা হয়েছে তার নাম হলো যুবশ্রী। এই প্রকল্পের নাম নথিভূক্ত করার জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘নিউ এনরোলমেন্ট জব সিকার’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর পরবর্তী পর্যায়ে আবেদনপত্রে দেওয়া সমস্ত খুঁটিনাটি ফিলাপ করতে হবে এবং আবেদন করতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফ থেকে আপনার আবেদন খতিয়ে দেখার পর এই প্রকল্পের জন্য টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হবে।