You will be shocked when you hear the bus fare from Medinipur to Kharagpur: মেদিনীপুর থেকে খড়গপুর যাওয়া এবং খড়গপুর থেকে মেদিনীপুর ফেরার বহু যাত্রী আছে যারা বাসে করেই নিত্যদিন যাতায়াত করে। কিছুদিন যাবৎ তাদের পড়তে হচ্ছে বিশাল সমস্যায়। যেই পথ অতিক্রম করতে লাগতো যৎসামান্য টাকা সেইখানেই খরচ হচ্ছে প্রচুর। কেন এরকম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে? সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর এবং খড়গপুরকে সংযোগ করে যে সেতু অর্থাৎ দেশপ্রাণ বীরেন্দ্র সেতু আগামী ২১ অগাস্ট রাত ১১ টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে কংসাবতী নদীর উপর বীরেন্দ্র সেতুকে ৯৬ ঘন্টা ধরে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। মেদিনীপুর এবং খড়গপুর সংযোগকারী এই একমাত্র সেতুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত বাসভাড়া (Kharagpur-Medinipur bus fare)।
১৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয় বীরেন্দ্র সেতুর উপর দিয়ে মেদিনীপুর থেকে খড়গপুর পৌঁছতে। এই পথের বেসরকারি বাস ভাড়া ছিল ১৪ টাকা এবং সরকারি বাসে করে গেলে লাগতো ১০ টাকা (Kharagpur-Medinipur bus fare)। বর্তমান পরিস্থিতিতে কেশপুর, দাসপুর, মেছোগ্রাম হয়ে খড়গপুর পৌঁছতে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে সাধারণ জনগণকে বেসরকারি বাসের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৮৫ টাকা এবং সরকারি বাসের ভাড়া দিতে হচ্ছে ৭২ টাকা। বাস ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ার পরও তারা এক বাসে পৌঁছতে পারছে না খড়গপুর।
যেই পথ আগে ছিল খুবই সোজা কিন্তু এখন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যদি আপনি মেদিনীপুর থেকে খড়গপুর যেতে চান তাহলে বাসে করে কেশপুর হয়ে প্রথমে যেতে হচ্ছে মেছোগ্রাম তারপর সেখান থেকে বাস বদল করে যেতে হচ্ছে খড়গপুরে। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার জন্য যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। আবার মেদিনীপুর থেকে মেছোগ্রাম সরকারি বাসের ভাড়া ৪২ টাকা এবং মেছোগ্রাম থেকে খড়্গপুরের ভাড়া ৩০ টাকা (Kharagpur-Medinipur bus fare)।
যাত্রীদের যে শুধু অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাই নয় লেগে যাচ্ছে প্রচুর সময়। বেসরকারি বাসে খরচ হচ্ছে ৮৫ টাকা। এক্ষেত্রে যাত্রীদের মেদিনীপুর থেকে মেছোগ্রামে বেসরকারি বাসের ভাড়া ৫০ টাকা এবং মেছোগ্রাম থেকে খড়গপুরের ভাড়া ৩৫ টাকা (Kharagpur-Medinipur bus fare)। আগে এই ১৩০ কিলোমিটার পথ যেতে নিত্যযাত্রীদের খুব বেশি হলে সময় লাগত সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট। সেতুটি বন্ধ থাকার ফলে ১৩০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে নিত্যযাত্রীদের সময় লাগছে সর্বনিম্ন ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
মোটের ওপর বলা যেতে পারে সেতু বন্ধ হওয়ার ফলে সবথেকে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। সাধারণ মানুষের একটাই আবেদন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই সমস্যার সমাধান করা হোক। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতু বন্ধ করা হলেও অন্যান্য দিক থেকে মানুষকে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি সুবিধা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন, শুধুমাত্র অ্যাম্বুলেন্স এর ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।