Dada Boudi Biriyani: মাসে কত টাকা রোজগার ‘দাদা-বউদি বিরিয়ানি’র দাদা বউদির! আপনার আন্দাজও ভুল হয়ে যাবে

Prosun Kanti Das

Published on:

You will be surprised to hear the monthly earnings of Dada Boudi Biriyani shop: বিরিয়ানির নাম শুনলে জিভে জল আসে না আমাদের চারপাশে এমন মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম। বিরিয়ানির দোকানের পাশ থেকে গেলেই লাল কাপড়ে মোড়া বিরিয়ানির হাঁড়ি আর বিরিয়ানির ঘ্রাণ খাদ্য রসিক মানুষের মনকে আকুল করে তোলে। যদি হয় জগৎ বিখ্যাত দাদা বৌদির বিরিয়ানি, তবে তো ভোজন রসিকদের মুখে হাসি ফুটবেই। ব্যারাকপুরের বিখ্যাত দাদা বৌদির বিরিয়ানির (Dada Boudi Biriyani) স্বাদ গ্রহণ করতে শুধু কলকাতা থেকে নয়, দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন। ব্যারাকপুরের দাদা বৌদির বিরিয়ানি বর্তমানে বিরিয়ানি প্রেমী মানুষদের কাছে একটা আবেগ -ই বলা চলে।

সম্প্রতি দাদা বৌদির বিরিয়ানির (Dada Boudi Biriyani) মূল দুই কর্ণধার অর্থাৎ যারা দাদা এবং বৌদি নামে খ্যাতি লাভ করেছেন, তারাই এসেছিলেন দাদাগিরির মঞ্চে। সঞ্চালক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায় বিখ্যাত এই দাদা বৌদির দোকানের নানা কাহিনী। দাদা বৌদির দোকানের প্রথম পথ চলা থেকে বর্তমানে তাদের মাসিক আয়ের অঙ্ক, সবটাই তারা ভাগ করে নেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এর সঙ্গে। কথাপ্রসঙ্গে সৌরভ জানালেন তিনি নিজেও বিরিয়ানি পাগল। তিনি নিজে গিয়ে চেখে দেখে এসেছেন দাদা বৌদির বিরিয়ানি।

লোকমুখে পরিচিত দাদা অর্থাৎ ধীরেনবাবু এদিন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কে নিজের দোকানের ইতিহাস বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী। ধীরেন বাবু এ দিন জানালেন ১৯৭৫ সালে শুরু তার এই দোকান। অনেক কষ্ট করেছেন প্রথমে। সৎ পথে চলেছেন। মানুষকে ভালোবেসেছেন এবং মানুষের জন্যই কাজ করেছেন। আর সেখান থেকেই ফিরে পেয়েছেন অগাধ ভালোবাসা আর পেয়েছেন ‘দাদা বৌদি’ নাম।

আরও পড়ুন 👉 New Features in YouTube: মনিটাইজেশন চলে গেলেও হবে রোজগার, ইউটিউব নিয়ে এলো দারুণ ফিচার

ধীরেনবাবু জানান দৈনিক লাভের হিসাব আগে তিনি রাখলেও বর্তমানে সেই দায়িত্ব সামলান তার দুই ছেলে সঞ্জীব আর রাজীব। ধীরেন বাবুর কথা থেকে জানা যায় বর্তমানে তার দোকানে দৈনিক ১ লাখ টাকা আয় হয়ে যায়। দাদাগিরির মঞ্চে এদের উপস্থিত ছিলেন ধীরেন বাবু ও সন্ধ্যা দেবীর পুত্র সঞ্জীব বাবুও। তিনি জানান প্রতিদিন তাদের এক একটি বিরিয়ানির কাউন্টার থেকে প্রায় ৪-৫ হাজার প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। বছরে তাদের আয়ের অঙ্ক পৌঁছে যায় ১০০ কোটিতে। দৈনিক বিরিয়ানি রান্না করার জন্য তাদের দোকানে ৮০০-১০০০ কিলো মাংস লাগে।

তাদের বক্তব্য থেকে জানা যায় দাদা বৌদির বিরিয়ানির (Dada Boudi Biriyani) গুণগত মান এবং পূর্ব খ্যাতি বজায় রাখতে তারা সদা সচেষ্ট। তাই নির্দিষ্ট দোকান গুলি থেকে নিজেরা দেখে এবং বেছে এখনও পর্যন্ত মাংস কিনে আনেন ধীরেন বাবুর দুই পুত্র। এভাবে ৪০ বছর ধরে বিরিয়ানির মান যথার্থ রেখে কাজ করে আসছে তারা। এদিন দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভ গাঙ্গুলী চোখে দেখলেন বিখ্যাত দাদা বৌদির বিরিয়ানি। সেই সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতায় কেন তারা বিরিয়ানির দোকান এখনো খুলছেন না তা নিয়ে বিরিয়ানির জন্য বিখ্যাত দাদা ও বৌদির কাছে অভিযোগও জানালেন বাংলার দাদা।