Facebook banned: বিশ্বের এই ৫ দেশে চলে না ফেসবুক, পিছনে রয়েছে এই কারণ

You will be surprised to know that Facebook is banned in five countries of the world: বর্তমানে মানুষের মধ্যে ফেসবুক করার প্রবণতা ভীষণভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি বিশ্বের সবথেকে বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। ফেসবুকের মালিকানা কিন্তু রয়েছে মেটার হাতে। মেটা হলো আমেরিকার একটি অন্যতম বিখ্যাত বহুজাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ফেসবুকের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা মানুষ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এই মেটার সদর দফতর কোথায় জানেন? আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে। মেটার অধীনে রয়েছে বিশ্বের তিনটি বড় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, সেগুলি হল- whatsapp, instagram, এবং facebook। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দশটি বৃহত্তম পাবলিকলি ট্রেডেড কর্পোরেশনের মধ্যে একটি হলো মেটা। কিন্তু কেন কিছু দেশে চলে না ফেসবুক (Facebook banned)?

পৃথিবীতে মানুষের কাছে ফেসবুক যথেষ্ট পরিমাণে জনপ্রিয়। সারা বিশ্বে এটি একটি জনপ্রিয় নাম। অ্যালফাবেট (গুগল), অ্যামাজন, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফ্টের মত এটিও আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। কিন্তু এমন কিছু দেশ আছে যেখানে নিষিদ্ধ ফেসবুক (Facebook banned)। জেনে নিতে হবে কোন কোন দেশে ফেসবুক চলে না। এই তালিকায় নাম আছে কিউবার। কিউবায় কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক নিষিদ্ধ করা হয়নি, তবে এটি অ্যাক্সেস করা ভীষণ কঠিন। এটি একমাত্র রাজনীতিবিদ, কিছু সাংবাদিক এবং মেডিকেল স্টুডেন্টরা তাদের বাড়ি থেকে আইনত ওয়েব অ্যাক্সেস করতে পারেন। বাকিদের জন্য অনলাইন জগতের সঙ্গে আইনিভাবে সংযোগ করতে চাইলে উপায় হলো ইন্টারনেট ক্যাফে। জানলে অবাক হবেন, কিউবাতে গড় আয় হলো ২০ মার্কিন ডলার। তাই ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে প্রতি ঘন্টায় খরচ হবে ৬ মার্কিন ডলার থেকে ১০ মার্কিন ডলার। এই খরচ বহন করার মতো সামর্থ্য বেশিরভাগ মানুষেরই নেই।

ইরান হলো এমন একটি দেশ যেখানে নিষিদ্ধ (Facebook banned) করা হয়েছে ফেসবুক। এখানে ২০০৯ সালে যে বিতর্কিত নির্বাচন এবং গণবিক্ষোভ হয় তার জন্য ফেসবুক-কে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু কিছু ব্যবহারকারী এমন আছেন যারা ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাক্সেস করেন। ইরান সরকার কিন্তু ভিপিএন এর ব্যবহার আইনত অপরাধ ঘোষণা করে। ২০২০ সাল নাগাদ ইরান সরকার ঘোষণা করেছে যে, তারা চীনের সাথে কাজ করে একটি জাতীয় ইরানী ইন্টারনেট তৈরি করছে। সম্ভবত মনে করা হচ্ছে, ইরানও চিনের গ্রেট ফায়ারওয়ালের মত একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে পারে।

তুর্কমেনিস্তান হল প্রাক্তন সোভিয়েত মধ্য এশিয়ার রাষ্ট্র। এখানেও ফেসবুক একেবারে নিষিদ্ধ (Facebook banned)। আশ্চর্যের কথা হল ফেসবুক নিষিদ্ধ করার সাথে, তুর্কমেনিস্তান হোম ইন্টারনেট চালু করার জন্য সাইন আপ করতে গেলেই কোরানের শপথ নিতে বলে যাতে তারা ভিপিএন অ্যাক্সেস করতে না পারে। এমনকি শিক্ষার্থীরা যাতে কোন নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট সার্চ করার জন্য যাতে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস না করে সে জন্য বিবৃতিতে স্বাক্ষর পর্যন্ত করানো হয়। এরপর তালিকাতে নাম আছে চীনের। ২০০৯ সাল থেকে চিনে ফেসবুক নিষিদ্ধ কারণ, জিনজিয়াং প্রদেশে মারাত্মক দাঙ্গার পর কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারী ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি এখানে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম পর্যন্ত নিষিদ্ধ। চীনের গ্রেট ফায়ারওয়াল কি জানেন? বিদেশী মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের সীমাবদ্ধতা এবং বেসরকারী কন্টেন্টের সেন্সরশিপ হল গ্রেট ফায়ারওয়াল।

উত্তর কোরিয়া এমন একটি দেশ যেখানে ফেসবুক চলে না। ২০১৬ সালে এরা আনুষ্ঠানিকভাবে ফেসবুক ব্যবহারকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। কেউ যদি অনুপযুক্ত উপায়ে ফেসবুক অ্যাক্সেস করে বা এর থেকে কোনো প্রজাতন্ত্র বিরোধী ডেটা বিতরণ করে তবে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। উত্তর কোরিয়া নিজেকে সমস্ত বিদেশি রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। গোটা দেশের উপর শাসক দলের প্রভাব যথেষ্ট।