মেয়েদের (Girls) মনে মাঝেমাঝেই একটা দুঃখ বাসা বাঁধে। সেটা হলো কেন তাঁদের পোশাকে কোনও পকেট (No Pockets) নেই। কিন্তু কেন যে নেই, তার উত্তর খুঁজে পান না কেউ। তারপরেও এর উত্তর আমরা খুঁজে পাই না।
যদিও প্রায় সব মহিলাই ভাবেন যে, যদি তাদের পোশাকে পকেট (pocket) থাকতো তাহলে খুব ভালো হতো। তাহলে কত সুবিধাই না হত! তাই বর্তমানে অনেক ব্র্যান্ড তাদের কুর্তায় বা ট্রাউজারে পকেট ডিজাইন করা শুরু করেছেন।
জামায় পকেট থাকলে মানুষের অনেক কাজ সহজ হয়ে যায়। ছোট জিনিস বহন করার জন্য আলাদা ব্যাগের প্রয়োজন হয় না। ছেলেদের প্রায় সব জামাতেই পকেট থাকে। কিন্তু একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে যে মেয়েদের জামায় পকেট সচরাচর খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না।
সত্যি বলতে এর পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক কারণ নেই। এটি কেবল প্রাচিনপন্থী বিশ্বাস। এবং পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার আর একটি প্রমাণ। হাউ স্টাফ ওয়ার্কস ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক শতাব্দী আগে নারী ও পুরুষ উভয়েই তাদের কোমরে বা শরীরের উপরের অংশে ব্যাগের মতো জিনিস ঝুলিয়ে রাখতেন। তাতেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা টাকা রাখতেন।
প্রায় ৪০০ বছর আগে পুরুষদের জামায় প্রথম পকেট তৈরি করা হয়েছিল যাতে তারা জিনিস রাখতে পারে। কিন্তু নারীদের পোশাকে সেই পরিবর্তন করা হয়নি। কারন সেই সময়ের পুরুষরা চাইতেন না নারীদের পোশাকের জন্য তাদের শারীরিক সৌন্দর্য কমে আসুক।
নারীদের জামায় পকেট থাকলে শরীরের আকৃতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এবং সৌন্দর্য নষ্ট হতে পারে। তাই মেয়েদের স্তনের আকৃতিতে যাতে কোনও প্রভাব না পরে তার জন্যই মেয়েদের শার্টে পকেট থাকতো না। আজও পোশাকের সেই পুরনো বিশ্বাস ও নকশা অনুসরণ করা হচ্ছে।
এছাড়া গত শতাব্দীতেও সব মহিলারা চাকরিজীবী ছিলেন না। এবং তাঁদের নিজেদের টাকা বহন করার কোনও অধিকার ছিল না। তাঁরা সব সময়ই বাড়ির পুরুষ সদস্যের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তাই তাঁদের পোশাকে পকেট রাখারও প্রয়োজন ছিল না। কারণ তাঁদের পকেটে টাকা রাখার কোনও প্রয়োজন ছিল না।
এরপর মহিলারা হাতব্যাগ বা হ্যান্ডব্যাগ কিংবা পার্স ব্যবহার করতে শুরু করেন। তাতেই নিজেদের সামগ্রী রাখা শুরু করেন। তাই পোশাকে পকেট ফিরিয়ে আনার বা দেওয়ার কোনও প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু এখন মহিলারা নিজেদের পছন্দমতো পকেট দেওয়া বা পকেট ছাড়া পোশাক পরেন।