ভোটের আগে ঝাঁঝালো প্রধানমন্ত্রী, মোদির বক্তব্যের ১০টি দিক

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিধানসভা নির্বাচনের আগে সোমবার হুগলির ডানলপে জনসভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভোটের আগে জনসভা মানেই অপর পক্ষকে ঝাঁঝালো আক্রমণ। ঝাঁঝালো মূর্তিতেই সোমবার ধরা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে একাধিক অস্ত্রে বিদ্ধ করলেন তিনি। চলুন দেখে নেওয়া যাক তার বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি দিক।

১) বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জানান বাংলার উন্নয়নই হলো কেন্দ্র সরকারের প্রধান এবং প্রথম লক্ষ্য।

২) ছোট ছোট কৃষকরা যাতে উপকৃত হন তার জন্য মহারাষ্ট্র থেকে বাংলার শালিমার পর্যন্ত কিষান রেল চালানো হবে। আর এই কিষান রেলের মাধ্যমে সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ফসল নিয়ে যেতে পারবেন কৃষকরা।

৩) নোয়াপাড়া দক্ষিণেশ্বর মেট্রো রেল উদ্বোধন হওয়াই বহু মানুষ উপকৃত হবেন। কলকাতা যেতে তাদের আর কোন অসুবিধা হবে না।

৪) ভোট ব্যাঙ্কের জন্য তোষণের রাজনীতি করছে বাংলার সরকার। দেশ ভক্তির বদলে ভোটব্যাঙ্ক আর উন্নয়নের বদলে তোষণ। ভোটের জন্য মা দুর্গার বিসর্জন পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে বাংলার সরকার।

৫) বিজেপি সরকার এসে বাংলার সংস্কৃতির জয়গান শুরু করবে। সোনার বাংলা গড়বে। মজবুত করবে বাংলার সংস্কৃতি এবং ইতিহাসকে। মানুষ এই বর্তমান সরকারকে ক্ষমা করবে না।

৬) অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়ও বাংলা অনেক এগিয়ে ছিল কিন্তু বর্তমান সরকারের কারণে অনেক পিছিয়ে পড়েছে। মা মাটি মানুষের সরকার বাংলাকে পিছিয়ে দিয়েছে। বিজেপি সরকার এলে তোষণের রাজনীতি আর তোলাবাজি হবে না।

৭) কৃষকদের সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে চেয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু তোলাবাজির জন্য সেই টাকা পৌঁছায়নি।

৮) তৃণমূল নেতাদের সম্পত্তি, প্রতিপত্তি বাড়লেও সাধারণ মানুষের কিছু হয়নি। আয়ুষ্মান ভারতের ৫ লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত বাংলার মানুষেরা।

৯) বাংলার মেয়েদের ওপর অন্যায় করছে তৃণমূল সরকার। শুধু ক্ষমতার পরিবর্তন নয় আসল পরিবর্তন চায় বিজেপি।

[aaroporuntag]
১০) বাংলায় বাড়ি ভাড়া নিতে গেলেও কাটমানি চায়। বাংলার উন্নয়ন সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। আর এই সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাওয়ার জন্য উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। আগে হুগলিতে জুটমিল, বড় বড় কারখানা ছিল কিন্তু এখন কিছু নেই। কাজের খোঁজে এখন বাংলার মানুষকে অন্যান্য রাজ্যে যেতে হচ্ছে।