‘রাখে হরি মারে কে’, উত্তরাখণ্ডে প্লাবনের মাঝেই টানেল থেকে জীবিত উদ্ধার ১৬

নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরাখণ্ডে রবিবার বিশাল তুষারধসে প্লাবনের ঘটনায় অজস্র ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এই ঘটনায় দেড়শ জনের বেশি নিখোঁজ বলে প্রথমে জানা যায়। যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আর এই ঘটনা আট বছর আগের কেদারনাথের স্মৃতিকে আষ্টেপিষ্টে তুলে ধরছে। তবে এরই মাঝে ভালো খবর এটাই যে এই প্লাবনের মাঝেই টানেল থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হলেন ১৬ জন।

তুষারধসের কারণে জোশিমঠের কাছে ধৌলিগঙ্গার জলস্তর দ্রুত বাড়তে শুরু করে। তীব্র জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় নদীপারের বহু ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। আচমকা নাম ধসের কারণে চামোলির তপোবন বাঁধের কাজে নির্মীয়মান টানেলে আটকে পড়ে ২০ জন কর্মী। অন্যদিকে এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত ১২০ জন কর্মী এই ঘটনায় নিখোঁজ হন।

জলোচ্ছ্বাসের এই ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্যে নামেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা প্রথমে অনুমান করেছিলেন টানেলে আটকে পড়া অথবা নিখোঁজ থাকা কেউই বেঁচে নেই। তবে প্রবাদ আছে ‘রাখে হরি মারে কে’। আর সেই প্রবাদকেই সত্যি করে টানেলে আটকে থাকা ১৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করলেন ITBP জওয়ানরা।

ITBP-র তরফ থেকে সেই উদ্ধারকার্যের ভিডিও সামনে আনা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে সাক্ষাৎ যমের দুয়ার থেকে ঘুরে আসা ওই সকল কর্মীরা আবেগে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না। আর এই ১৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের পর ITBP জাওয়ান এবং উদ্ধারকার্যে নামা প্রতিটি সদস্যদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আপামর জনতা।

ITBP সূত্রে জানা গিয়েছে, হঠাৎ তুষারধস এবং প্লাবনের কারণে তপোবনের সামনে থাকা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের টানেল ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। আর ওই টানেলের মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন কর্মরত কর্মীরা। যাদের মধ্যে ১৬ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে এই প্লাবনের কারণে অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।