বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল! এখন কী হবে!

নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে এবার লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর (Debashish Dhar)। তার এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো জমজমাট প্রচার শুরু করে দিয়েছিল বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছিলেন, এই কেন্দ্রে তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায় প্রার্থী হলেও লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে।

কিন্তু এই সকল পরিকল্পনা, মনে করা সবকিছুতেই রীতিমতো জল ঢালল শুক্রবার। কেননা শুক্রবার জানা যায়, বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তার মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া নিয়ে গত বুধবার থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল। আর সেই জল্পনা থেকেই বিজেপি তড়িঘড়ি বৃহস্পতিবার একজন ডামি প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র ফাইল করান বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের জন্য। বৃহস্পতিবার আসানসোলের দেবতনু ভট্টাচার্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তবে প্রশ্ন হল কেন দেবাশিস ধরের মনোনয়নপত্র বাতিল করল নির্বাচন কমিশন? কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, সদ্য চাকরি ছাড়া দেবাশিসকে ধরকে এখনো পর্যন্ত ‘নো ডিউস সার্টিফিকেট’ দেয়নি রাজ্য সরকার। আর এই সার্টিফিকেট না দেওয়ার কারণেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেবাশিস ধর জানিয়েছেন, তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ইস্তাফা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি ইস্তাফাপত্র গ্রহণ করার পর এই সকল প্রসঙ্গ কি করে আসে? তিনি অল ইন্ডিয়া সার্ভিস রুলসের সেকশন ৫ অনুযায়ী ইস্তাফা দিয়েছেন।

আরও পড়ুন 👉 Debashish Dhar: কত দূর পড়াশোনা বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের! তিনি কত টাকার মালিক!

বিজেপি প্রার্থী দেবাশীষ ধরের প্রার্থী পদ নিয়ে এইরকম কিছু একটা ঝামেলা হতে পারে তা গত ২৩ এপ্রিলেই টের পাওয়া গিয়েছিল। যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূম সফরে এসে দেবাশীষ ধরের প্রসঙ্গ টেনে বলেছিলেন ‘সদ্য চাকরি ছাড়া আইপিএস আধিকারিক দেবাশিস ধরকে ‘নো ডিউস’ দেয়নি রাজ্য।’ আর এরপরই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে শুরু করে বিজেপি।

তবে বিজেপির তরফ থেকে দেবাশীষ ধরের ডামি প্রার্থী হিসেবে যেমন দেবতনু ভট্টাচার্যকে প্রার্থী করা হয়েছে, ঠিক সেই রকমই আবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে যাচ্ছেন দেবাশীষ ধর। হাইকোর্ট কি রায় দেয় তার উপর নির্ভর করছে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী। সে ক্ষেত্রে যদি হাইকোর্ট দেবাশীষ ধরকে প্রাপ্তি হওয়ার ক্ষেত্রে কোন বাধা থাকবে না জানিয়ে দেয় তাহলে হয়তো তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে তা নির্ভর করছে সম্পূর্ণ দলের সিদ্ধান্তের ওপর।