মায়ের আগমন ঘোটকে, গমন দোলায়, রইলো তাৎপর্য

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেখতে দেখতে একটা বছর পার হয়ে গেল। আর মাত্র হাতে কয়েকটা দিন বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর। একটা সময় ছিল যখন খুব কম সংখ্যক পুজো লক্ষ্য করা যেত। মূলত পাড়া অথবা বাড়ির দুর্গাপুজোই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতো। আর এই দুর্গাপুজোর ক্ষেত্রে প্রবীণরা সবথেকে বেশি নজর রাখেন মায়ের আগমন ও গমনের তাৎপর্যে।

প্রতিবছর দেবী দুর্গার আগমন ও গমন হয়ে থাকে বিভিন্ন বাহনে। এই সকল বাহনে আগমন ও গমনের পরিপ্রেক্ষিতে নানান তাৎপর্য রয়েছে। শাস্ত্র মতে দেবীর আগমন ও গমনের বাহনের উপরই নির্ভর করে ফলাফল। বর্তমান প্রজন্মের মানুষেরা হয়তো এসব অতটা ভেবে দেখেনা। তবে যতটা হালকাভাবে নেওয়া হয়, বিষয়টি কিন্তু ততটা নয়। কারণ দেবীর আগমন ও গমনের সাথে রয়েছে নিখুঁত গণনা।

শাস্ত্রমতে দেবী দুর্গার গজে আগমন হলো শান্তি-সমৃদ্ধি, শস্যপূর্ণ বসুন্ধরার প্রতীক। দোলায় আগমন মহামারীর প্রতীক। নৌকায় আগমনকে অতিবৃষ্টির প্রতীক হিসাবে ধরা হয়। ঘোড়ায় আগমনকে ধরা হয় ছত্রভঙ্গের প্রতীক।

পঞ্জিকা মতে চলতি বছর দেবী দুর্গার আগমন ঘটছে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায়। দেবী দুর্গার ঘোড়ায় আগমনের ফল হল ছত্রভঙ্গ। চলতি বছর ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে আগমন হবে দেবী দুর্গার। তারেই ঘোড়ায় আসা অশনি সংকেত। ঘোড়ার সাথে রাজা বাদশা তথা রাজনীতির যোগ বেশ ভালোভাবেই অনুমেয়। সামাজিক এবং রাজনৈতিকভাবে অস্থিরতার ইঙ্গিত রয়েছে বর্তমান সময়ে। অন্যদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে উঁকি মারতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে আবার দেবী দুর্গার গমন রয়েছে দোলায়। যার ফলও হলো মড়ক। সব মিলিয়ে চলতি বছর দেবীর আগমন এবং গমন মোটেই সুখকর পরিস্থিতির সংকেত দিচ্ছে না।