শীতের মাঝেই বৃষ্টির ছোঁয়া, ঠান্ডা গরমের লুকোচুরি, কবে জাঁকিয়ে পড়বে শীত

নিজস্ব প্রতিবেদন : নভেম্বরের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গের সব জায়গায় সেইভাবে শীত অনুভূত না হলেও পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভালোভাবেই শীতের (Winter) অনুভব করা যাচ্ছিল। তবে সেই শীতের অনুভূতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় হঠাৎ নিম্নচাপ (Depression)। তিন দিনের বৃষ্টিতে বাধা প্রাপ্ত হয় উত্তুরে শীতল হাওয়া।

অন্যদিকে এই নিম্নচাপের বৃষ্টির পর মেঘ কাটতেই নতুন করে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করে। কিন্তু আবারও সেই তাপমাত্রার পারদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আরও একটি নিম্নচাপ। হাওয়া অফিসের (weather report) পূর্বাভাস অনুযায়ী শীতের মাঝেই ফের একবার বৃষ্টির ছোঁয়া মিলতে পারে বঙ্গবাসীদের। বর্তমান এমন পরিস্থিতিতে শুরু হয়েছে ঠান্ডা গরমের লুকোচুরি। এমত অবস্থায় প্রশ্ন কবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে রাজ্যে?

বর্তমানে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস রয়েছে তাতে এখনই দক্ষিণবঙ্গে জাঁকিয়ে শীতের কোন রকম সম্ভাবনা নেই। উপরন্তু খুব তাড়াতাড়ি দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলা হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে। ছিটেফোঁটা এই বৃষ্টি দেখা যাবে। সোমবার বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায়। মঙ্গলবারের বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গের ছিটেফোঁটা এই বৃষ্টিতে তালিকায় রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া ও কলকাতার নাম।

সোমবার হাওয়া অফিসের পেশ করা তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তাপমাত্রার পারদ গত দুই দিনের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিসের তরফ থেকে সোমবার যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ১৮.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি। আলিপুর হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী সোমবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের তুলনায় ২ ডিগ্রি বেশি।

অন্যদিকে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এই নিম্নচাপ কেটে যাওয়ার পর আকাশ পরিষ্কার হলে তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে নামবে। তবে তাপমাত্রার পারদ ধীরে ধীরে নামলেও এখনই জাঁকিয়ে শীত লক্ষ্য করা যাবে না রাজ্যে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে জাঁকিয়ে শীত পড়তে অপেক্ষা করতে হবে অন্ততপক্ষে ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। তবে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে আগাম জাঁকিয়ে শীত অনুভূত হতে পারে।