হতাশ করল হাওয়া অফিস, বৃষ্টি নিয়ে নিরাশাজনক বার্তা

নিজস্ব প্রতিবেদন : মার্চ মাসের শুরু থেকে রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় তাপমাত্রার পারদ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাপমাত্রার এই পারদ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আমজনতার দিনযাপন করা নাজেহাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বারংবার বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। আর এবার এই বৃষ্টি নিয়ে আরও নিরাশাজনক বার্তা দিল হাওয়া অফিস।

শুক্রবার যখন গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে আমজনতার সেই সময় ক্ষণিকের স্বস্তি নিয়ে পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া জেলায় বৃষ্টির দেখা মেলে। কোথাও ঝমঝমিয়ে আবার কোথাও ঝিরঝির করে। এমনকি পুরুলিয়ায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় একজনের। গত তিনদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলা বৃষ্টিতে ভেজার পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু তার বাস্তবতা খুব একটা মেলেনি।

অন্যদিকে যখন সাধারণ মানুষ বৃষ্টি, কালবৈশাখী অথবা ঝড়ো হাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, সেই সময় উল্টো পূর্বাভাস শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের তরফ থেকে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, ধীরে ধীরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমছে দক্ষিণবঙ্গে। মধ্যপ্রদেশের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকার কারণে দক্ষিণবঙ্গের উপর ধীরে ধীরে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে।

এর আগে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে তিনদিনের যে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল সেই পূর্বাভাস একপ্রকার ফাঁকিই রয়ে গেল। এই তিন দিনের বৃষ্টির পূর্বাভাস হাতেগোনা কয়েকটি জেলা ছাড়া কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বীরভূম কোন জায়গাতেই ছিটেফোঁটা বৃষ্টির দেখা মেলেনি। আর আগামী কয়েকদিনও বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা কথা জানাতে পারলো না হওয়া অফিস।

এই ধরনের গলদঘর্ম পরিস্থিতিতে চিকিৎসক মহল সাধারণ মানুষকে সবসময় সতর্ক থাকার অনুরোধ করেছেন। বৃষ্টিহীন বৈশাখে সাধারণ মানুষের ক্লান্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তায় বের হলেই কিছুক্ষণের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যতটা বেশি পরিমাণ জল খাওয়া প্রয়োজন। পাশাপাশি সরাসরি গায়ে রোদ যেন না লাগে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।