মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি ভিত্তিতে জেলায় তৈরি হচ্ছে ৪ টি আইসোলেশন হাসপাতাল

অমরনাথ দত্ত : গত সোমবার নবান্নে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ২২ টি জেলায় জরুরী ভিত্তিতে অন্তত একটি করে আইসোলেশন হাসপাতাল গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। নির্দেশ মতো প্রতিটি জেলাতেই আইসোলেশন হাসপাতাল গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। আর বীরভূমে জরুরী ভিত্তিতে ৪ টি আইসোলেশন হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানা যায় প্রশাসনিক সূত্রে।

বীরভূমের সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট এই তিন মহকুমায় বেসরকারি নার্সিংহোমগুলিকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়াও তারাপীঠে একটি আইসোলেশন হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। জেলায় সর্বসাকুল্যে ১৫০ বেডের আইসোলেশন হাসপাতাল গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা রয়েছে বীরভূম জেলা প্রশাসনের। মঙ্গলবার এরকম একটি বেসরকারী হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন বীরভূম জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আঁড়ি, জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ, জেলা পুলিশ সুপার (বোলপুর) শিব প্রসাদ পাত্র, এসডিপিও অভিষেক রায় প্রমুখেরা।

পরিদর্শন করে জেলাশাসক জানান, “পরিকাঠামো ঠিকই আছে তবে আরও কিছু কাজ করার প্রয়োজন আছে, তা আমরা করে নিবো।” অন্যদিকে ভিন রাজ্যে থাকা জেলার বাসিন্দাদের সংখ্যা প্রসঙ্গে জেলাশাসকের জানান, “এখনো পর্যন্ত যে হিসাব উঠে এসেছে তাতে ৪০০০ জনের কাছাকাছি মানুষ জেলা থেকে বাইরের রাজ্যে রয়েছেন। আমরা সেই সকল মানুষদের সাথে যোগাযোগ করে তারা যেখানে রয়েছে সেখানকার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাথে কথা বলছি যেন তারা সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকেন।”

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বারংবার প্রচার করা সত্ত্বেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ কিছু মানুষকে অসচেতন ভাবে চলাফেরা করতে দেখা যাচ্ছে। সে বিষয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের পরামর্শদাতা অভিজিৎ সিংহ জানান, “বেশিরভাগ মানুষই সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলছেন। আর যারা মেনে চলছেন না তাদের সংখ্যাটা খুবই নগণ্য। আর এই নির্দেশিকা নিজেদের সুরক্ষার জন্য। এটা তো জোর করে কাউকে করানো যেতে পারে না। এটা মানুষকে বোঝানোর বিষয়। সেজন্য আমাদের প্রচার সর্বতোভাবে চলছে ও চলবে।”