ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারতে উপলব্ধ হবে আরও পাঁচটি টিকা, রইলো তালিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা রুখে দেওয়ার একমাত্র উপায় হল টিকাকরণ। এমনটাই বলছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে বিশেষজ্ঞরা। আর এই বিশেষজ্ঞদের মতামত মেনে ভারত সরকারের তরফ থেকে গত বছর প্রথম দফায় কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োগ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। আর এই দুটি ভ্যাকসিন দিয়ে ইতিমধ্যেই দেশে টিকাকরণ চলছে। এর পাশাপাশি তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে স্পুটনিক ভি-কে। এই টিকার প্রয়োগও শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে জানা যাচ্ছে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই তিনটি টিকা ছাড়াও আরও পাঁচটি টিকা উপলব্ধ হতে চলেছে।

সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষেই ভারতে কমপক্ষে ২০০ কোটি টিকার ডোজ উপলব্ধ করা হবে। কিন্তু কিভাবে এই বিপুলসংখ্যক টিকা উপলব্ধ করতে চলেছে ভারত সরকার তার সম্পর্কে জানা যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া তিনটি ভ্যাকসিন ছাড়াও আরও পাঁচটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে চলেছে ভারত সরকার। আর এই অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতেই এই বিপুলসংখ্যক টিকার ডোজ উপলব্ধ করা হবে।

কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক ভি ছাড়াও আরও যে পাঁচটি টিকার অনুমোদন দিতে পারে ভারত সরকার সেই পাঁচটি টিকা হলো নোভাভ্যাক্স, নেসাল ভ্যাকসিন (ভারত বায়োটেক), বায়ো ই-সাব ইউনিট ভ্যাকসিন, জাইদাস ক্যাডিলা ডিএনএ ভ্যাকসিন এবং
জিনোভা এমআরএনএ ভ্যাকসিন। আমরা ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিন এবং স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানি। চলুন দেখে নেওয়া যাক বাকি ভ্যাকসিন গুলি সম্পর্কে কিছু জরুরী তথ্য।

নোভাভ্যাক্স : এই ভ্যাকসিনটি মার্কিন সংস্থার দ্বারা তৈরি। ভারতে এই ভ্যাকসিন সরবরাহের বরাত নিয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট। এই ভ্যাকসিন ভারতে উপলব্ধ হলে এর নাম হবে কোভোভ্যাক্স। ইতিমধ্যেই এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে দাবি করা হয়েছে ৯৬.৪ শতাংশ।

নেসাল ভ্যাকসিন (ভারত বায়োটেক) : ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন ছাড়াও আরও একটি টিকা তৈরির পথে। তারা যে নতুন ভ্যাকসিন বাজারে আনছে সেটি হল নেসাল ভ্যাকসিন। এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য সূঁচ এবং সিরিঞ্জের প্রয়োজন নেই। ড্রপারের মাধ্যমে নাকে দিলেই হবে। তবে এই ভ্যাকসিনের বর্তমানে প্রথম পর্যায়ে ট্রায়াল পিরিয়ড চলছে। পাশাপাশি ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে এই ভ্যাকসিনের কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকবে। তবে অন্যান্য ভ্যাকসিনের তুলনায় এই ভ্যাকসিন অনেকটাই সস্তা হবে।

বায়ো ই-সাব ইউনিট ভ্যাকসিন : বায়োলজিক্যাল-ই লিমিটেড নামে হায়দ্রাবাদের একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা বর্তমানে এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে। আগামী আগস্ট মাসে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসতে পারে বলে অনুমান।

জাইদাস ক্যাডিলা ডিএনএ ভ্যাকসিন : এই ভ্যাকসিন এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। দেশের ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। আহমেদাবাদের সংস্থা জাইদাস ক্যাডিলার এই ভ্যাকসিন আগামী মাসেই বাজারে উপলব্ধ হতে পারে বলে অনুমান। কোভ্যাক্সিনের পর এই ভ্যাকসিনটি হলো দ্বিতীয় স্বদেশী ভ্যাকসিন।

[aaroporuntag]
জিনোভা এমআরএনএ ভ্যাকসিন : সমস্ত ট্রায়াল ঠিকঠাক হলে ভারতের স্বদেশী তৃতীয় ভ্যাকসিন হিসাবে নাম উঠে আসতে চলেছে পুনের সংস্থা জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালসের এমআরএনএ ভ্যাকসিনের। তবে এই ভ্যাকসিনের এখনো ট্রায়াল শুরু হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি এর ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানা যাচ্ছে।