নিজস্ব প্রতিবেদন : সংক্রমণ ঠেকানো তো দূরের কথা, বরং প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। ১৫ই জুলাই রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে করোনা সংক্রান্ত যে রিপোর্ট তুলে ধরা হয় তাতে দেখা গেছে গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮৯ জন। আর এরপরে রাজ্যের মোট সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৪ হাজার ৪২৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭৪৯ জন। মোট সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা ২০ হাজার ৬৮০। ২৪ ঘন্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ২০ জন। যার পরেই রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১০০০। তবে এসব বাদ দিয়ে বর্তমানে রাজ্যের অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা খুবই উদ্বেগজনক। বর্তমানে রাজ্যে মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হল ১২,৭৪৭।
আর এই সংক্রমণ এবং অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা কমানোর জন্য রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশিকা জারি করেছিলেন জুলাই মাসের ৯ তারিখ থেকে রাজ্যের কনটেইনমেন্ট জোন ভুক্ত এলাকাগুলিতে নতুন করে লকডাউন জারি করা হবে। নির্দেশিকা মত জুলাই মাসের ৯ তারিখ বিকেল ৫টা থেকে রাজ্যের ২০টি জেলার ৪৩৪টি কনটেইনমেন্ট জোন এলাকায় শুরু হয় লকডাউন। পরে দেখা যায় এই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ১৪ই জুলাই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৫৭১। আর একদিন পেরোতে না পেরোতেই ১৫ই জুলাই রাজ্য সরকারের রিপোর্ট অনুযায়ী এই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৪১। অর্থাৎ একদিনের মধ্যেই কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বাড়লো ৭০।
১৪ই জুলাই পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা
কলকাতা (২৮), হাওড়া (৮৫), উত্তর ২৪ পরগনা (৯৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৫৫), হুগলি (২১), নদীয়া (৪১), পূর্ব মেদিনীপুর (১৮), পশ্চিম মেদিনীপুর (২৩), পূর্ব বর্ধমান (৫২), মালদা (৪), জলপাইগুড়ি (১১), দার্জিলিং (৭), কালিম্পং (১), উত্তর দিনাজপুর (৬১), দক্ষিণ দিনাজপুর (১০), মুর্শিদাবাদ (৪), বাঁকুড়া (১৬), বীরভূম (১৯), কোচবিহার (৩), পুরুলিয়া (১৩), আলিপুরদুয়ার (৪)।
১৫ই জুলাই থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা
কলকাতা (২৮), হাওড়া (৮৫), উত্তর ২৪ পরগনা (৯৫), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (৫৫), হুগলি (২১), নদীয়া (৪২), পূর্ব মেদিনীপুর (১৮), পশ্চিম মেদিনীপুর (৪২), পূর্ব বর্ধমান (৭১), মালদা (৪), জলপাইগুড়ি (১১), দার্জিলিং (৭), কালিম্পং (৭), উত্তর দিনাজপুর (৬৬), দক্ষিণ দিনাজপুর (১০), মুর্শিদাবাদ (৪), বাঁকুড়া (৩১), বীরভূম (২২), কোচবিহার (৩), পুরুলিয়া (১৫), আলিপুরদুয়ার (৪)।