Fish: এই মাছ খেলে পেটে জমবে পারদের স্তর! বাঙালি বাড়িতে খাওয়া হয় কিন্তু

কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালি বাড়িতে মাছ ছাড়া একটি দিনও চলে না। মাছের বাজারে গেলেই ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে চলে দর কষাকষি। বাঙালির ভাতের পাতে মাছ ছাড়া অন্য কিছু যেন মুখে রূচতে চায় না।

পারশের লাল ঝাল থেকে কাচা লঙ্কা চিরে কাঁটাপোনার পাতলা ঝোল একবারে যেন অমৃত বাঙালির পাতে। আর বঙ্গে বর্ষা এলে তো কথাই নেই, পেটে ডিম ভরা ইলিশের সাথে দু হাতা ভাত বেশি খায় বাঙালি। তবে ভালো পাকা মাছ মানেই প্রোটিনের সম্ভার তা মোটেই নয়। এমন অনেক মাছ রয়েছে যা বাঙালি বাড়িতে প্রায় খাওয়া হয় তবে জানলে অবাক হবেন স্বাস্থ্যের পক্ষে এই মাছ খাওয়া ভালো নয়। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের এই মাছ কম খাওয়াই ভালো।

আরও পড়ুন: ঘরও গেল, ব্যবসাও গেল! নিম্নচাপের দমকা হাওয়ায় সর্বস্ব হারালেন বীরভূমের হতদরিদ্র দম্পতি

বাজারে এমন কিছু মাছ আছে যা খেতে সুস্বাদু হলেও এগুলি বেশি খেলে পেটে পারদ জমতে থাকে। তাই এই মাছ এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

তালিকার প্রথমেই নাম রয়েছে ম্যাকারেল মাছের। এই মাছে থাকে ভরপুর ভিটামিন এ ও ভিটামিন ডি। তাছাড়াও থাকে পারদ, তাই এই মাছ প্রতিদিন খেলে পেটে পারদ জমার সম্ভাবনা থাকে। যার ফলে ভবিষ্যতে একাধিক রোগের বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।

দ্বিতীয়তে রয়েছে টুনা মাছ। এই মাছ খেতে সুস্বাদু হলেও এই মাছে থাকে ভরপুর ভিটামিন বি১২,বি৩, বি১, বি৬ এবং ভিটামিন ডি এর মতো মাল্টিভিটামিন।এই মাছেও পারদ থাকে অনেক বেশি পরিমাণে।

তৃতীয়তেই নাম রয়েছে সার্ডিন মাছের। যা খয়রা বা চন্দনা মাছ নামেও পরিচিত। এই মাছে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড একই সাথে পারদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

চতুর্থতে রয়েছে তেলাপিয়া মাছ। তেলাপিয়া মাছের ঝোল ঝাল খেতে বাঙালি ভালবাসলেও এই মাছ মূলত খামারে চাষ করা হয়। হাঁস ও মুরগির বিষ্ঠা খাওয়ানো হয় এই মাছেদের, যার ফলে বাড়তি রোগ জীবাণু এই মাছের শরীরে ঢোকে এবং মানুষের শরীরে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

শেষে নাম রয়েছে বাসা মাছের। যেই মাছ ভেটকির মতো খেতে হলেও এই মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। এই মাছ হাঁপানি ও কোলেস্টেরলের রোগীদের খাওয়া একেবারেই ভালো নয়।