বর্তমান দিনে ঘরবাড়িতে এক মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলতে নানান প্রজাতির গাছ লাগাতে দেখা যায় অনেককে। তাই ছাদেও গাছের বাগান করেন তৈরী করেন অনেকে। আর এই গাছ লাগিয়েই কার্যত সাড়া ফেলে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। গাছ লাগিয়েই মোটা অংকের টাকা উপার্জন করেছেন এই ব্যক্তি।তার নাম সঞ্জয় কুমার। তিনি মুজফফরপুরের বাসিন্দা। অনেকে আবার তার কাজের সঙ্গে মিলিয়ে তাকে ‘অ্যাডেনিয়াম বাবা’ নামেও ডাকেন।
আসলে বেশ কয়েক বছর আগে অন্যদের মতো তার বাড়ির ছাদে একটি ছোট্ট বাগান তৈরি করে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি হাজার হাজার ডেজার্ট রোজ চাষ করে ব্যবসাটি এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন যা থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন তিনি। তবে প্রতিমাসে এই মোটা অংকের টাকা উপার্জন কীভাবে সম্ভব তা তুলে ধরবো এই প্রতিবেদনে।
আরও পড়ুন: Fish: এই মাছ খেলে পেটে জমবে পারদের স্তর! বাঙালি বাড়িতে খাওয়া হয় কিন্তু
বিগত ১০ বছর আগে সঞ্জয় কুমার মাত্র ৫০ খরচ করে একটি মাত্র অ্যাডেনিয়াম গাছ বাড়িতে কিনে এনেছিলেন। অনেকের মতো তিনিও গাছটি তার ছাদে রোপন করেছিলেন। তিনি ওই গাছ রোপনের পর বুঝতে পারেন যে এই গাছের চারা খুব সহজেই তৈরি সম্ভব। ওই একটি গাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তিনি ধীরে ধীরে হাজার হাজার গাছ তৈরি করেন তার বাড়ির ছাদে। তৈরির প্রথম দিকে কাছের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের এই গাছ উপহার হিসেবে দিতেন তিনি। তবে পরবর্তী সময়ে ব্যবসার ভাবনা আসে তার মাথায়। তাই আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্রতিটি চারা গাছ ৫০ টাকা দরে তিনি নার্সারিতে বিক্রি করেন। তার আসল নামের চেয়ে ‘অ্যাডেনিয়াম বাবা’ নামই জনপ্রিয় সকলের কাছে।
সঞ্জয়ের গাছ চাষের পদ্ধতিও বেশ সহজ। তিনি নারকেলের খোসার গুঁড়ো ব্যবহার করে অল্প খরচে হাজার হাজার গাছ উৎপাদন করেন। প্রথমে তিনি বীজ ট্রেতে নারকেলের গুঁড়ো রেখে অ্যাডেনিয়াম বীজ রোপন করেন। সাধারণত ১০ দিনের মধ্যেই চারাগাছ জন্মে যায়। এরপর ২ মাসের জন্য তিনি অন্য ট্রেতে সেই চারাগুলিকে রেখে বৃদ্ধি করেন। জানলে অবাক হবেন, একসঙ্গে ১০০০টি গাছ নার্সারিতে তিনি সরবরাহ করেন। এই পদ্ধতিতে তার গাছ উৎপাদনের খরচ বলতে গেলে প্রায় শূন্য। অথচ তার উপার্জন লাখ টাকার বেশি।
আপনার ছাদে বাড়ির অন্য কোন স্থানে যদি ফাঁকা জায়গা থাকে তবে আপনিও রোপন করে ব্যবসা শুরু করতে পারেন এই গাছের।