ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ চালাতে বাধ্যতামূলক হোক আধার, সওয়াল সুপ্রিম কোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিনের পর দিন বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব। কচি থেকে বুড়ো সকলেই যুক্ত হচ্ছেন ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক মাধ্যমের সাথে। কিন্তু তাতে আপত্তি নেই। আপত্তি গুজব এবং উস্কানিমূলক খবর ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অপরাধে। আর এই সকল অপরাধের প্রভাব পড়ছে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে। এই গুজব এবং উস্কানিমূলক খবর আটকানোর জন্য কেন্দ্র সরকার ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির তরফ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সফলতার ক্ষেত্রে হোঁচট খেতে হচ্ছে। আবার অন্যদিকে হোয়াটসঅ্যাপ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে তাদের বার্তাগুলির উপর নজর রাখা সম্ভব নয়। তাহলে উপায়!

সেই উপায় খুঁজে বের করা নিয়েই জল্পনা। গুজব এবং উস্কানিমূলক খবর রুখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাউন্ট করলে আধার লিঙ্ক করার মত সুপ্রিম কোর্টে আর্জি করলেন অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেনুগোপাল। আর্জির সাথে সাথে তিনি এও জানান জনস্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টের সাথে আধার লিঙ্ক থাকলে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হবে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি এও বলেন, ব্লু হোয়েলের মত মারাত্মক গেম ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এর পিছনে কারা! কোন হদিস নেই। আর এই সকল পরিস্থিতির মোকাবেলা সোশ্যাল একাউন্ট গুলিকে ভেরিফিকেশন করা দরকার সরকারের।

তাহলে কি এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট করার ক্ষেত্রে আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক হতে চলেছে? দেশের শীর্ষ আদালত এই মামলার জন্য শুনানিতে রাজি হয়েছে। এই বিষয়ে দেশের তিনটি আদালতে চারটি পিটিশন জমা পড়েছে। দুটি মাদ্রাজ, একটি উড়িষ্যা এবং আরও একটি মুম্বাইয়ে। নোটিশ পাঠানো হয়েছে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, গুগল, বিভিন্ন সোশ্যাল সংস্থা এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে। আর এই নোটিশের জবাব ১৩ই সেপ্টেম্বর এর মধ্যে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপের সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল এবং মুকুল রহাতোগী জানান, এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়। এই বিষয়ে কেন্দ্র সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নিলে হাইকোর্ট মত জানাতে পারে না। তবে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র সরকার।