ডেউচা পাঁচামি কয়লা খনি নিয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন : মহঃ বাজার ব্লকের ডেউচা, পাঁচামি, দেওয়ানগঞ্জ, হরিণসিঙ্গা এবং তার আশপাশের গ্রামের মাটির নীচে ২১০ কোটি ২০ লক্ষ টন কয়লা মজুত রয়েছে। কিন্তু তা এতটাই নীচে রয়েছে যে, এত দিন সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক বাজারে দরপত্র চেয়ে এই কাজে অভিজ্ঞ খনন সংস্থা নিয়োগ করা হবে এবং কয়লার সঙ্গে ওই খনি এলাকার পাথরও তোলা হবে।

এই প্রকল্পে লগ্নি হবে আনুমানিক ৫০ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটির ফলে রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা জোগানে আর কোনও সমস্যাই থাকবে না। ফলে বিদ্যুতের দাম রাজ্য সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এই প্রকল্প নিয়ে এর মধ্যেই যথেষ্ট আশাবাদী সরকারি শীর্ষ কর্তারা। তাঁরা মনে করছেন, এই কর্মকাণ্ডের ফলে বীরভূমের মতো পিছিয়ে পড়া জেলার আর্থিক হাল তো ফিরবেই, তা ছাড়া রাজ্যের অর্থনীতির উপরেও এর বড় প্রভাব পড়বে।

আর আজ এই কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর কথায় উঠে এলো ডেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প নিয়ে বড় ঘোষণা।

তিনি বলেন, “বছর তিনেকের টানাপোড়েনের পর এই কয়লা খনি নিয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত। খুব শীঘ্রই পরিকল্পনামাফিক এই কয়লা খনি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এই কাজ সম্পূর্ণ করতে পারলে আগামী ১০০ বছর বাংলায় কয়লার অভাব হবে না। শুধু বাংলায় নয়, গোটা ভারতের কয়লার চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।”

পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ বেকার যুবকের চাকরি হবে।”

প্রসঙ্গত, মহঃ বাজার ব্লকের ডেউচা পাঁচামী এলাকায় বিস্তির্ন এলাকা জুড়ে রয়েছে আদিবাসীদের বাস। রয়েছে প্রায় কয়েকশো গ্রাম এবং সেই গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। গত দু বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী জেলার এই শিল্পের কথা ঘোষনার পর জেলা প্রশাসন একটু একটু করে এই সরকারি শিল্প গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল।