First Passenger Train Fare : দেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া কত ছিল জানেন?

First Passenger Train Fare : দেশের বুকে ইতিহাস রচনা করেছিল এই ট্রেন! দেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের ভাড়া কত ছিল জানেন? দেশের লাইফ লাইন হল ভারতীয় রেল। কারণ ভারতীয় রেল তার পরিষেবাকে দেশের নানান প্রান্তে মাকড়সার জালের মত বিস্তৃত করে রেখেছে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে রেল ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কের ২৩ হাজারের অধিক ট্র্যাক কিলোমিটার আপগ্রেড করে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মাইলফলক তৈরি করেছিল। যার ফল স্বরূপ ট্রেনের গতি ঝড়ের মত বৃদ্ধি পেয়ে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার (কিমি/ঘন্টা) পর্যন্ত ছুয়েছে।

তবে এই প্রশ্নের উত্তর কী আপনি জানেন যে ১৮৫৩ সালে বম্বে এবং থানের মধ্যে চালু হওয়া প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের ভাড়া কত রাখা হয়েছিল? দেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনটি ১৮৫৩ সালের ১৬ এপ্রিল বোরি বন্দর যা এখন মুম্বই নামে পরিচিত এবং থানের মধ্যে চলাচল করেছিল। গ্রেট ইন্ডিয়ান পেনিনসুলা রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ট্রেনটি মোট ৩৪ কিলোমিটার পথ পার করেছিল। দেশের প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের ভাড়া প্রথম শ্রেণী জন্য ছিল ৩০ পয়সা, দ্বিতীয় শ্রেণীর জন্য ছিল ১৬ পয়সা, আন্তঃশ্রেণীর জন্য ছিল ৯ পয়সা এবং তৃতীয় শ্রেণীর জন্য নির্ধারিত ছিল ৫ পয়সা।

পরবর্তী সময়ে ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণীর টিকিটের জন্য ১ টাকা এবং প্রথম শ্রেণীর টিকিটের জন্য আরও ১ টাকা বাড়িয়ে ২ টাকা ভাড়া ঠিক করা হয়েছিল। আজকের দিনে এই ভাড়া শুনলে রীতিমতো চমকে উঠতে হয়। রেলের তরফে ২০২৪ এর ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের দাম অনেকটা কম করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল যাতে কোভিড এর আগের সময় ফিরে যাওয়া যায়। ভারতীয় রেলের তরফে ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনে দ্বিতীয় শ্রেণীর সাধারণ ভাড়া পুনর্বহাল করা হয়। বর্তমান সময়ে যা এক্সপ্রেস স্পেশাল বা মেমু অথবা ডেমু এক্সপ্রেস ট্রেন নামে জনপ্রিয়।

প্রসঙ্গত, রেলের তরফে কোভিড অতিমারি এবং লকডাউনের পর সেই ট্রেনগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার সঙ্গে মিল রেখে সর্বনিম্ন টিকিটের ভাড়া ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকায় এসে পৌঁছায়। ২০২৪-২৫ সালের আর্থিক সমীক্ষা বলছে, নতুন মোট ১৭টি জোড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নেটওয়ার্কে চলাচল করছে এবং গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে অক্টোবর মাসের ভিতরে ২২৮টি কোচ তৈরি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এছাড়াও ৯১টি গতিশক্তি মাল্টি-মডেল কার্গো টার্মিনাল চালু করা হয়েছে এবং পিপিপি মডেলের আওতায় ১৭টি প্রকল্প এর কাজ শেষ হয়েছে ১৬,৪৩৪ কোটি টাকা ব্যয়।