সম্প্রতি, আরবিআইয়ের তরফে এটিএমে টাকা তোলার ক্ষেত্রে খরচ বাড়ানো হয়েছে। তারপর আবারও একবার খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে আরবিআই। পয়লা মে থেকেই দেশের ১৫টি ব্যাঙ্কের নাম বাদের খাতায় চলে গিয়েছে। গত মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে দেশে ‘এক রাজ্য এক গ্রামীণ ব্যাঙ্ক’ নীতির ঘোষণা করা হয়েছিল। যা গতকাল থেকে কার্যকর হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নীতির ওপর জোর দিয়ে এবার তাই দেশের বুক থেকে ১৫টি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের নাম মুছে যাচ্ছে।
আরবিআই এর এই নতুন নীতি কার্যকর হওয়ার আগে দেশের বুকে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সংখ্যা ছিল ৪৩টি। যা কাটছাট হয়ে ২৮ এ গিয়ে দাঁড়াবে। তবে বাকি ১৫টি ব্যাঙ্ক কী তবে বন্ধের বুকে? গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকার ভবিষ্যতই বা কী? প্রশাসনিক সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক গুলি মোটেই বন্ধ হচ্ছে না। ১৫টি ব্যাঙ্কের নাম খাতা থেকে বাদ যাচ্ছে এ কথা ভুল নয়।
আরও পড়ুন: ‘পেন কথা বলবে!’ মাধ্যমিকে নবম দিশাকে সম্বর্ধনা দিয়ে জানালেন দেবব্রত সাহা
তবে এর ফলে প্রভাবিত হবেন না সাধারণ গ্রাহকরা।আরও জানা গিয়েছে, এই ১৫টি গ্রামীণ ব্যাঙ্ক এর আগে অবধি স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের কাজ করত, তবে এবার থেকে তারা একত্রে মিলিত হয়ে কাজ করবে। এই ১৫টি ব্যাঙ্কগুলি মিলিত হয়ে কাজ করার ফলে ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে পরস্পর দ্বন্দ্ব আরও হ্রাস পাবে। একটি রাজ্যে একটা গ্রামীণ ব্যাঙ্ক থাকলে শাখার সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। যার জেরে উপকৃত হবেন গ্রাহকরা।
চলতি মাসে মোট ১১টি রাজ্য গ্রামীণ ব্যাঙ্ক একত্রীকরণ এর পথে হাঁটতে চলেছে। তালিকায় রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, গুজরাট, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা ও রাজস্থান।