অধিকাংশ মানুষকেই প্রায়শই নানান কাজে ব্যাঙ্কে যেতে হয়। দেশের সর্বস্তরের গ্রাহককে দ্রুত ও উন্নত পরিষেবা দেওয়াই ব্যাঙ্কের কর্মীদের কাজ। তবে ব্যাঙ্কে গিয়ে কখনও কর্মীর ব্যবহার আপনার অসন্তোষের কারণ হয়েছে? কিংবা ব্যস্ততার মাঝেও কোনও কর্মীর শান্ত ও ধৈর্যশীল পরিষেবায় আপনি মুগ্ধ হয়েছেন? এবার আপনার সেই অভিজ্ঞতা সরাসরি জানাতে পারবেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে। দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই তাদের নির্দিষ্ট কিছু শাখায় চালু করেছে এক অভিনব ব্যবস্থা।
প্রতিটি কর্মীর ডেস্কের সামনে থাকবে একটি কিউআর কোড। গ্রাহক সেই কোড স্ক্যান করে সংশ্লিষ্ট কর্মীর পরিষেবা সম্পর্কে মতামত ও রেটিং জানাতে পারবেন। এই মূল্যায়নের ভিত্তিতে কর্মীদের কর্মক্ষমতার নিরীক্ষা হবে। সূত্রের খবর, ভবিষ্যতে সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে এই নিয়ম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনি কী ঢেঁড়শের পোকা? জেনে নিন শরীরের ভিতরে কী কী প্রভাব পড়ছে
কীভাবে হবে মূল্যায়ন?
গ্রাহক ও সম্ভাব্য গ্রাহকরা এক থেকে পাঁচের মধ্যে রেটিং দেবেন এবং চাইলে লিখিত মন্তব্যও জানাতে পারবেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই তথ্য বিশ্লেষণ করে কর্মীদের কাজের মান বিচার করা হবে। যারা উচ্চ রেটিং পাবেন, তাঁদের পুরস্কৃত করা হতে পারে। অন্যদিকে, যাঁদের রেটিং কম হবে, তাদের পদোন্নতি বা সুবিধায় প্রভাব পড়তে পারে। যদি কারও বিরুদ্ধে বারবার পরিষেবা সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠে, তবে তা বিশ্লেষণ করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কর্মীদের আপত্তি
তবে ব্যাঙ্ককর্মীদের সংগঠনগুলির অভিযোগ, এই পদ্ধতি বাস্তব সমস্যাগুলি অগ্রাহ্য করছে। অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজেন নাগর বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক শাখাগুলিতে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। পরিষেবার পরিধি ও গ্রাহকসংখ্যা বাড়ছে। অনেক জায়গায় পরিকাঠামোগত সমস্যাও রয়েছে খারাপ প্রিন্টার, ইন্টারনেটের সমস্যা ইত্যাদি। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীরা চাইলেও দ্রুত ও মানসম্পন্ন পরিষেবা দিতে পারেন না।’’
তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ‘‘গ্রাহকরা হয়তো পরিকাঠামোগত অসুবিধার জন্যই কর্মীদের কম রেটিং দেবেন। ফলে এই মূল্যায়ন কতটা বাস্তবসম্মত বা ন্যায়সঙ্গত হবে, তা নিয়ে বড় প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।’’