Car Without Fuel: আগামী মাস থেকে নাকি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পেট্রোল কিংবা ডিজেল। শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন কিন্তু কথাটি একেবারে সত্যি। বায়ু দূষণকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার নয় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারও। দেশের মধ্যে বায়ুদূষণের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। বলা যেতে পারে এখানকার বায়ুদূষণ ভারত বিখ্যাত। কিন্তু আগামী মাস থেকে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, জানতে হলে অবশ্যই পড়ুন আজকের এই প্রতিবেদনটি।
দিল্লীবাসীর জন্য নয়াবার্তা
যারা দিল্লির বাসিন্দা তাদের জন্য এই প্রতিবেদনটি কিন্তু একেবারে উপযুক্ত। কারণ আগামী মাস থেকে তারা পেট্রোল এবং ডিজেল কোনটাই পাবে না। যদি ১ জুলাই থেকে পেট্রোল এবং ডিজেল না পাওয়া যায় তাহলে গাড়ি (Car Without Fuel) চলবে কি করে? আসলে এই নিয়মটি প্রযোজ্য হচ্ছে পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রে। আপনি যদি দিল্লির বাসিন্দা হন এবং আপনার কাছে থাকে পুরনো গাড়ি তাহলে পেট্রোল এবং ডিজেল কোনটাই পাবেন না। বিশদ জানতে চোখ রাখতে হবে এই প্রতিবেদনটিতে।
বন্ধ পেট্রোল এবং ডিজেল
দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি বায়ু দূষণ হয় দিল্লিতে এবং এই বায়ু দূষণকে যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তার জন্যই সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর আওতায়, ১ জুলাই, ২০২৫ থেকে রাজধানীর জ্বালানি স্টেশনগুলিতে পুরানো যানবাহন-কে(Car Without Fuel) পেট্রোল এবং ডিজেল দেওয়া হবে না। সরকারের এই নীতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পেট্রোল পাম্প ডিলারদের উপর, তবে দিল্লি পেট্রোল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (DPDA) এই বিষয়ে সরকারের কাছে গুরুতর আপত্তি জানিয়েছে।
কোন গাড়ির (Car Without Fuel) ক্ষেত্রে এই নিয়ম?
কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (CAQM) অনুসারে, সরকার দ্বারা যে নিয়মটি চালু করা হয়েছে তার আওতায় আসছে ১০ বছরেরও বেশি পুরনো গাড়ি। এই ধরনের সমস্ত ডিজেল গাড়ি এবং ১৫ বছর পার করে আসা পেট্রোল গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। বলা হয়েছে যানবাহনগুলো (Car Without Fuel) যে রাজ্যেরই হোক না কেন, দিল্লির জ্বালানি পাম্পগুলি তাদের জ্বালানি দেবে না। CAQM-এর লক্ষ্য হল দিল্লির তীব্র বায়ুর মান উন্নত করা এবং পুরানো যানবাহন থেকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করছে পাম্প ডিলাররা
ডিপিডিএ ইতিমধ্যেই তুলে ধরেছে যে, যদি সরকার দ্বারা প্রদত্ত এই নীতি বাস্তবায়িত হয় তাহলে ডিলারদের আইনি ও সামাজিক সমস্যা দেখা দেবে। সংগঠনটি দিল্লির পরিবহনমন্ত্রী পঙ্কজ সিং এবং পরিবহন কমিশনারকে একটি চিঠি লিখে বেশ কয়েকটি গুরুতর বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তার মধ্যে রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন, পেট্রোল পাম্পগুলি কোনও গ্রাহককে জ্বালানি সরবরাহ করতে অস্বীকার করতে পারে না।
পাশাপাশি যদি কোন পাম্প অ্যাটেনডেন্ট পুরানো গাড়িতে জ্বালানি দিতে অস্বীকৃতি জানায়, নানারকম আইনি সমস্যা দেখা দিতে পারে। অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করে দিয়েছে যদি সরকারের এই নিয়ম কোন পাম্পের সঠিকভাবে পালন করা না হয় তাহলে পাম্প মালিক বা পরিচারকদের গ্রেপ্তার করা বাস্তবসম্মত বা ন্যায্য নয়।