Ghatal Master Plan: এত আলোচিত ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান, সেটি আসলে কী?

Ghatal Master Plan: ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ও সংলগ্ন এলাকার দীর্ঘদিনের এক গুরুত্বপূর্ণ এবং বহু আলোচিত জলনির্বাহ (flood control) প্রকল্প। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য ঘাটাল সহ সংলগ্ন অঞ্চলগুলিকে বর্ষাকালে হওয়া জলাবদ্ধতা ও বন্যার হাত থেকে রক্ষা করা।

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের (Ghatal Master Plan) মূল দিকগুলো:

১. জলনিকাশী ও বন্যা প্রতিরোধ: ঘাটাল অঞ্চলে প্রতি বছর বর্ষাকালে শিলাবতী ও কংসাবতী নদীতে জল বেড়ে আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী, নদীর গভীরতা বাড়ানো, বাঁধ নির্মাণ ও পুনঃসংস্কার, এবং স্লুইস গেট বসানোর মাধ্যমে জল দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

২. মোট ব্যয় ও বাস্তবায়ন: এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা। এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের যৌথ প্রকল্প। বাস্তবায়নের দায়িত্ব ভারতের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তত্ত্বাবধানে রাজ্য সরকার এবং ইরিগেশন বিভাগ পালন করবে।

৩. লাভবান এলাকাগুলি: ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান (Ghatal Master Plan) কার্যকর হলে ঘাটাল মহকুমার প্রায় ৫ লক্ষের বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। এর পাশাপাশি দাসপুর, চন্দ্রকোনা, কেশপুর, ও পিংলা প্রভৃতি এলাকাও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে।

আরও পড়ুন: ‘স্কুলে না গেলে তুলে নিয়ে চলে যাব!’ শিক্ষকের কাণ্ড দেখে হাসির রোল গোটা গ্রামে

৪. কাজের অগ্রগতি: বহু বছর ধরেই এই প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল। মাঝে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে আর্থিক ও প্রশাসনিক টানাপোড়েনের কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন থমকে ছিল। বর্তমানে রাজ্য সরকার নিজস্ব অর্থে কিছু অংশের কাজ শুরু করেছে।

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের (Ghatal Master Plan) নিয়ে কেন এত চর্চা?
  • প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়নের ফারাক: বছরের পর বছর ধরে রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু বাস্তবে কাজ খুব ধীরে এগিয়েছে।
  • বন্যার ভয়াবহতা: প্রতি বছর বর্ষাকালে হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হন, ফসল নষ্ট হয়, স্কুল-অফিস বন্ধ থাকে। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির প্রতিশ্রুতি হওয়ায় মানুষ প্রকল্পটি নিয়ে অনেক আশা করেন।
  • রাজনৈতিক বিতর্ক: কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের মধ্যে দায়িত্ব ও অর্থ বরাদ্দ নিয়ে বারবার চাপানউতোর হয়েছে, ফলে সাধারণ মানুষ এখনো প্রকৃত উপকার পাননি।