নিজস্ব প্রতিবেদন : আজ ১লা ডিসেম্বর ২০২০, এদিন থেকেই সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের সাথে জড়িয়ে থাকা ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পরিবর্তন হচ্ছে। দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর সরকারের তরফ থেকে যে সকল সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছিল সেগুলি হয়তো বন্ধ হচ্ছে অথবা পরিবর্তিত হচ্ছে। আর এই সকল বন্ধ অথবা পরিবর্তন হওয়ার ক্ষেত্রে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাঙ্কিং থেকে রেশন ব্যবস্থা।
১) ব্যাঙ্কিং : ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন আসছে তাতে সাধারণ মানুষের অনেকটাই সুবিধা বাড়বে। ডিসেম্বর মাস থেকে ব্যাঙ্ক গ্রাহকরা ২৪x৭ RTGS করার সুযোগ পাবেন। আগে যেখানে নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যেই RTGS করতে হতো এখন থেকে আর সেই সময়ের বাধ্যবাধকতা থাকছে না।
২) রান্নার গ্যাসের দাম : প্রতি মাসের মতো ডিসেম্বর মাসেও সিলিন্ডার প্রতি রান্নার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করলো কেন্দ্রীয় প্রস্তুতকারী সংস্থা। তবে স্বস্তির খবর এটাই যে ডিসেম্বর মাসে রান্নার গ্যাসের দাম ৫০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। অর্থাৎ নভেম্বর মাসে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের জন্য যে পরিমাণ খরচ করতে হতো ডিসেম্বর মাসেও অনেকটাই বেশি অর্থ খরচ করতে হবে।
৩) রেশন ব্যবস্থা : দেশে লকডাউন চলাকালীন কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় বিনামূল্যে মাথাপিছু ৫ কেজি করে চাল দেওয়ার যে ঘোষণা করা হয়েছিল তার মেয়াদ শেষ হলো নভেম্বর মাসে। এই প্রকল্পের মেয়াদ আর কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বাড়ানো হয়নি। সুতরাং ডিসেম্বর মাস থেকে বিনামূল্যে রেশনে খাদ্য সামগ্রী বন্ধ হলো।
যদিও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে তারা তাদের সরকারের তরফ থেকে একই ধরনের একটি প্রকল্প আগামী বছর জুন মাস পর্যন্ত চালিয়ে যাবে।
৪) ট্রেন : লকডাউন জারি হওয়ার পর স্তব্ধ হয়ে যায় দেশের সবথেকে বড় গণপরিবহন ট্রেন পরিষেবা। সেই পরিষেবা ধীরে ধীরে পুনরায় স্বাভাবিকের পথে। ডিসেম্বর মাস থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু নতুন নতুন রুটে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেলের তরফ থেকে। আর পশ্চিমবঙ্গ থেকে ডিসেম্বর মাসে পুনরায় চালু হচ্ছে ২৭ জোড়া প্যাসেঞ্জার ট্রেন। যেগুলি রাজ্যের বিভিন্ন জেলা এবং ভিন রাজ্যের মধ্যে চলাচল করবে। এছাড়াও ডিসেম্বর মাসেই শহরতলী ছাড়াও নন-সাবার্বান এলাকাতেও লোকাল ট্রেন চালু হচ্ছে।
৫) বিমা : বিমার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হচ্ছে ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোন ব্যক্তি বিমা করে থাকলে সেই বিমা ৫ বছরের পর ৫০% কমিয়ে চালিয়ে যেতে পারবেন। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির কোন বিমার প্রিমিয়াম যদি বছরে বা মাসে ৫০০০ টাকা করে থাকে। আর পরবর্তী সময়ে আর্থিক অসুবিধার কারণে তা বহন করতে দুরূহ হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে তিনি সেই বিমার কিস্তি সবথেকে কম ২৫০০ টাকা দিয়েও চালিয়ে যেতে পারবেন। এর ফলে বিমা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে না। পাশাপাশি বিমার কিস্তির অঙ্ক পরিবর্তন করার একটি আরও থাকছে বিমা গ্রাহকদের কাছে।