Airport Privatization: পুনরায় বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ চালু কেন্দ্রের, নেপথ্যে কারণ কি?

Airport Privatization: ভারতীয় যোগাযোগ মাধ্যমগুলির মধ্যে অন্যতম বিশেষ মাধ্যম হল বিমান মাধ্যম। যে মাধ্যমে খুব সহজেই কম সময়ের মধ্যে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছানো যায়। তবে খরচ একটু বেশি হয়। বিমানের যাতায়াত পথ যেহেতু আকাশ সেই কারণে প্রতি জায়গাতেই রয়েছে বিমানবন্দর। এবার সেই বিমানবন্দরগুলি বেসরকারীকরণ করতে চলেছে ভারত সরকার। কিন্তু কেন? হঠাৎ কি এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো যার কারণে সরকারি বিমানবন্দর বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে?

প্রসঙ্গত বেশ কয়েক বছর আগে কেন্দ্র সরকার ন্যাশনাল মানিটাইজেশন পাইপলাইনের আওতায় ২৫টি সরকারি বিমানবন্দর বেসরকারি (Airport Privatization) করার পরিকল্পনা করেছিল। যা ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিক্রি করে দেবে বলে জানিয়েছিল। এর জন্য ২০২১ সালে এএআই-এর পরিচালন পর্ষদ তরফে ইঙ্গিত দিয়েছিল প্রথম ১৩টি বিমানবন্দর বিক্রি করার। বিমান মন্ত্রক দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল নতুন ক্যাবিনেট নোট। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পরিকল্পনায় আপত্তি জানায় তালিকাভুক্ত মধ্যপ্রদেশ সরকার। রায়পুর এবং ইন্দোর বিমানবন্দর বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেবে না বলে জানায় মধ্যপ্রদেশ সরকার। যার ফলে সেই তালিকা থেকে ২টি বিমানবন্দর সংখ্যা কমে গিয়ে ১১টি করা হয়েছিল। তবে বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ সরকার রাজি হওয়ায় পুনরুজ্জীবিত হলো বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া।

আরও পড়ুন: Kolkata Metro Service Disruption: যাত্রী ভোগান্তি আবারও চরমে! চলতি মাসে দুদিন বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা

কিন্তু কি কারণে এই সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার? জানা গিয়েছে, কেন্দ্র তরফে বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ করার মূল লক্ষ্য হল অর্থভাণ্ডার বৃদ্ধি। অর্থাৎ কেন্দ্রের কোষাগার বৃদ্ধি করার জন্যই দেশের ১৩টি বিমানবন্দর বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র সরকার। এজন্য বিমান মন্ত্রক দ্বারা অর্থ মন্ত্রক আলোচনা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে নোট সার্কুলেট। উল্লেখ্য বিষয় গত ১লা ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রের বাজেট পেশে কোষাকার বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। জানিয়েছিলেন আগামী ৫ বছরের মধ্যে কেন্দ্র সরকার প্রায় ১০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করে রাজকোষ বৃদ্ধি করবে। যার অন্যতম উদাহরণ হল বিমানবন্দর বেসরকারিকরণ।

তবে সাধারণভাবে না, আর্থিক লাভের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় বিমানবন্দর বেসরকারিকরণের প্ল্যান করেছে কেন্দ্র। ৬টি বড় বিমানবন্দরের সাথে ৭টি ছোট বিমানবন্দরকে জুড়ে দিয়ে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। আর এই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ হলো আর্থিক দিক থেকে লাভজনক বিমানবন্দরগুলির সাথে যাতে সহজেই অলাভজনক বিমানবন্দরগুলি বেসরকারীকরণ (Airport Privatization) হয়ে যায়। কোন বিমানবন্দরের সাথে কোন বিমানবন্দরকে জুড়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার? কেন্দ্র সরকারের এই পরিকল্পনা বিষয়ে বিশেষজ্ঞমহলে কি মত?

সূত্রের খবর, বারাণসী বিমান বন্দরের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে কুশিনগর ও গোয়া বন্দরকে। রায়পুরের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে ওরঙ্গবাদ বিমানবন্দর। তিরুচিরাপল্লীর সঙ্গে জোড়া হয়েছে হুবলি বিমানবন্দর। অমৃতসরের সঙ্গে জোড়া হয়েছে কাংরা। ইন্দোরের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে জবলপুরকে এবং ভুবনেশ্বরের সঙ্গে জোড়া হয়েছে তিরুপতি বিমানবন্দরকে। অর্থাৎ যে বেসরকারি সংস্থা বারাণসী বিমানবন্দরের মালিকানা পাবে সেই সংস্থাই পাবে কুশিনগর ও গোয়া বিমানবন্দরের মালিকানা। তবে বিশেষজ্ঞদের উক্তি, কেন্দ্র সরকার এই বেসরকারীকরণের শর্তাবলী ঠিকঠাক না করলে বিমানবন্দর বেসরকারি (Airport Privatization) হওয়া লাভজনক ভাবে মুশকিল হতে পারে। কারণ লগ্নিকারীদের কাছে লাভজনক বিমানবন্দরের সাথে অলাভজনক বিমানবন্দর আকর্ষণীয় নাও হতে পারে। তবে এই পরিকল্পনায় কেন্দ্র কতটা সফল হয় সেটাই দেখার।