Narendra Cup: ১২০০ টিম, ২৫ হাজার খেলোয়াড়, ২৬ এর ভোটের আগে বিজেপির বড় খেলা নরেন্দ্র কাপ

Narendra Cup: ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের জন্য হাতে আর কয়েক মাস সময় রয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির সামনে। এমন অবস্থায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলই নতুন নতুন রূপে রেখা তৈরি করছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য। তবে এসবের মধ্যেই এবার বিজেপি বড় খেলা চালু করে দিল রাজ্যে।

রাজ্য জুড়ে শুরু হল বিজেপির উদ্যোগে আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতা ‘নরেন্দ্র কাপ’। ১১ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই টুর্নামেন্ট। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, “খেলাধুলার মাধ্যমে যুব সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও দলগত চেতনা গড়ে তোলাই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।” রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি সিউড়ির ইরিগেশন কলোনি ময়দানে এই খেলার সূচনা হয় বৃহস্পতিবার। খেলা চলবে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

  • জেলা ও মহকুমা স্তরে প্রাথমিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
  • প্রতিটি জেলার চ্যাম্পিয়ন দল পরবর্তী পর্বে যোগ্যতা অর্জন করবে।
  • কলকাতাসহ একাধিক বড় শহরে বিশেষ প্রদর্শনী ম্যাচ রাখা হয়েছে।
  • ফাইনাল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১৭ই সেপ্টেম্বর, যেখানে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও নগদ পুরস্কার প্রদান করা হবে।
  • চ্যাম্পিয়ন দলকে বিশেষ ট্রফি ও নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে।
  • রানার্স-আপ দলও নগদ পুরস্কার ও মেডেল পাবে।
  • সেরা খেলোয়াড়, সেরা গোলকিপার ও সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়—এই তিনটি বিভাগে আলাদা সম্মাননা দেওয়া হবে।

বিজেপি সূত্রে খবর, এ বছর প্রায় ১৫টি জেলা থেকে ১২০০-রও বেশি দল অংশ নিয়েছে। প্রতিটি ম্যাচ স্থানীয় খেলার মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে। স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকার তরুণরাও অংশ নিচ্ছেন এই প্রতিযোগিতায়।

আরও পড়ুন: আহমেদপুর জংশনের টিকিট কাউন্টার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল

ভোটের আগে এমন বড় মাপের ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজনের পিছনে জনসংযোগ বৃদ্ধি করাকেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল খেলা হবে স্লোগান তুলেছিল। রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞদের অনেকেই এবার বিজেপির এমন আয়োজনকে ২৬ এর ভোটের আগে তাদের বড় তুরুপের তাস নরেন্দ্র কাপ বলেই মনে করছেন। তবে তৃণমূলের খেলা হবে আর বিজেপির নরেন্দ্র কাপের মধ্যে পার্থক্য কতটা তার তুলে ধরেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

বিজেপির দাবি, ক্রীড়া উৎসবের মাধ্যমে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করা সম্ভব হবে। রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন, “আমরা চাই খেলাধুলার মাধ্যমে রাজ্যের যুব সমাজকে একত্রিত করতে। এই প্রতিযোগিতা শুধু খেলা নয়, একতা ও শৃঙ্খলার প্রতীক।” অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, খেলার আড়ালে ভোট রাজনীতি করছে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য, “খেলার নামে রাজনীতির প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃত খেলোয়াড়দের উন্নয়নে এর তেমন ভূমিকা নেই।” যদিও মাঠে ভিড় ও যুবকদের উৎসাহ দেখে বোঝা যাচ্ছে, স্থানীয় স্তরে প্রতিযোগিতাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। গ্রামীণ থেকে শহর—সব জায়গাতেই ‘নরেন্দ্র কাপ’ ঘিরে উচ্ছ্বাস চোখে পড়ছে।