Dubrajpur: দুবরাজপুরে পুলিশের কড়া অভিযান, উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি

আর মাত্র কয়েকদিন তারপরেই বাঙ্গালীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গোৎসব। আসন্ন দুর্গাপুজো বা দুর্গোৎসবকে ঘিরে এখন চারদিকে প্রস্তুতির আমেজ, সাজো সাজো রব, কেনাকাটায় ব্যস্ত সাধারণ মানুষেরা। আর সেই সুযোগকেই হাতিয়ার করতে চাইছিল একদল অসাধু ব্যবসায়ী। গোপনে মজুত করছিল প্রচুর নিষিদ্ধ শব্দবাজি। শুক্রবার গভীর রাতে দুবরাজপুর থানার উদ্যোগে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আটক করল প্রচুর পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই থানার গোয়েন্দারা নজরদারি চালাচ্ছিলেন। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর মেলে যে, দুবরাজপুর শহরের উপকণ্ঠে একটি গুদামে প্রচুর পরিমাণ বাজি মজুত রাখা হয়েছে। সেই খবরের ভিত্তিতেই রাতের অন্ধকারে অভিযান চালায় পুলিশের বিশেষ দল। গুদামে ঢুকেই তারা দেখতে পান বিভিন্ন ধরনের শব্দবাজির স্তূপ।

দুবরাজপুর থানার পুলিশের কাছে খবর ছিল দুবরাজপুরের আশ্রম মোড় থেকে সাতকেঁদুরী যাওয়ার বাইপাশে প্রচুর পরিমাণে বস্তা ভর্তি নিষিদ্ধ শব্দবাজি পাচার করা হবে। সেই মতো হানা দিয়ে পুলিশ একটি টোটো থেকে বস্তা ভর্তি বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তের নাম মিলন দত্ত, যিনি যশপুরের বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: দুবরাজপুরে শান্তি কমিটির বৈঠক, ডিজে বাজনায় নিষেধাজ্ঞা এবং প্যান্ডেলে নিরাপত্তায় জোর

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুবরাজপুরের দিক থেকে দুবরাজপুর বাইপাস রাস্তা হয়ে যশপুর গ্রামের দিকে টোটোতে করে নিষিদ্ধ শব্দবাজি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন অবস্থায় ধরা পড়ার পর পুলিশ খতিয়ে দেখছে এই সকল নিষিদ্ধ শব্দবাজি কোথা থেকে আনা হয়েছিল এবং কোথায় পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী বস্তার ভিতর ৬২৫ প্যাকেট চকলেট বোম, ৫০০ প্যাকেট ধানি পটকা ছিল

পুলিশ প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “নিষিদ্ধ শব্দবাজি রাখা বা বিক্রি একেবারেই আইনবিরুদ্ধ। দুর্গাপুজোর আগে কোনোভাবেই এই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না। ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অন্যদিকে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। শব্দবাজির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে পুলিশ প্রচার চালাবে বলেও জানা গেছে। শুধু শব্দ দূষণ নয়, এই বাজিগুলি থেকে হতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। তাই প্রশাসন চাইছে, উৎসব যেন হয় আনন্দের, আতঙ্কের নয়।