Illega Mining: গত সপ্তাহের শুক্রবার বীরভূমের নলহাটির বাহাদুরপুরের একটি খাদানে ধসের কারণে মৃত্যু হয় ৬ জন শ্রমিকের। যে ঘটনায় আহত হন আরও চারজন শ্রমিক। যারা এখন বাঁচার লড়াই চালাচ্ছেন। যে খাদানে এমন ঘটনা ঘটে সেই খাদানটি সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। ঘটনার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই খাদানের মালিক সঞ্জীব ঘোষকে। তবে এই সঞ্জীব ঘোষ গ্রেপ্তার হওয়ার পরই কিন্তু একাধিক প্রশ্ন উঠছে। কেননা বীরভূমে ২০০ টি মত খাদান রয়েছে আর সেই সকল খাদানের মধ্যে মাত্র ছটি বৈধ বলেই জানা যায় সূত্র মারফত।
এখানেই প্রশ্ন, তাহলে কেন কেবলমাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হল। আসলে জেলায় এত সংখ্যক অবৈধ পাথর খাদান (Illega Mining) চলার পিছনে আসল খেলা কি তা প্রকাশ করেছে একটি বাংলা সংবাদপত্র। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দিলেই মিটে যায় সব সমস্যা। এই সামান্য টাকাতেই প্রাণহানির মত ঘটনাও ধামাচাপা পড়ে যায়। তবে আবার স্থান বিশেষে শ্রমিকদের প্রাণের দামও আলাদা আলাদা।
নলহাটি এলাকায় যদি কোন শ্রমিক খাদানে কর্মরত অবস্থায় মারা যান তাহলে তার প্রাণের দাম ২ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে মহম্মদ বাজার, শালবাদরা এই সকল এলাকায় শ্রমিকদের প্রাণের দাম অনেকটাই বেশি। তারা খাদানে কর্মরত অবস্থায় প্রাণ হারালে তাদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। মৃত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা এই টাকা পেলেই আর খাদান অথবা খাদানের মালিকের বিরুদ্ধে কোনরকম অভিযোগ করেন না। এমনকি মৃত শ্রমিককে খাদানের মালিকরাই নিয়ে আসেন হাসপাতালে এবং তার সমস্ত কাজকর্ম করিয়ে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে।
আরও পড়ুন: বীরভূমের নলহাটির বাহাদুরপুরের অবৈধ খাদানে ধসের ঘটনায় ধৃত মূল অভিযুক্ত
এখন নলহাটির অবৈধ পাথর খাদানে (Illega Mining) ধস নামার পর ছয় শ্রমিকের মৃত্যুতে আচমকা নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আর তারপরেই পদক্ষেপ গ্রহণ শুরু হয়। যদি প্রশাসন নড়েচড়ে না বসত তাহলে শ্রমিকদের প্রাণের অলিখিত দাম অনুযায়ী পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে দেওয়া হতো এবং পুরো বিষয়টি ধামাচাপা পরিচিত বলেই আশা করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে, কোন রাজনৈতিক ইন্ধনেই কি এইভাবে অলিখিত শ্রমিকদের জীবনের দাম নির্ধারণ করে অবৈধভাবে খাদান চালানো হয়?
একদমই ঠিক। তবে রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে নামের তালিকায় কেবল যে শাসক দল জড়িয়ে রয়েছে তা নয়, বাংলা ঐ সংবাদপত্রের দাবি অনুযায়ী তৃণমূল ও বিজেপি দুই রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এমন অবৈধ খাদান (Illega Mining) কারবারের সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ জানিয়েছেন, অবৈধ খাদানে অভিযান চালাই প্রশাসন। পুলিশ এবং সিভিল যৌথ উদ্যোগেই চলে অভিযান। তবে অভিযান চললেও কি গ্রেপ্তার হয়? এই প্রশ্নের উত্তর নেই কারো কাছেই।