নিজস্ব প্রতিবেদন : কয়েক দিন আগেই টের পাওয়া গিয়েছিল হিন্দুত্ববাদী রাজনৈতিক দল শিবসেনা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় প্রার্থী দেবে। আর এর পরেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয় তাহলে কি এবার ৩০ শতাংশের ওপর ৭০% নিয়ে কাটাকাটি! উগ্র বনাম নরম হিন্দুত্বের লড়াই দেখতে চলেছে বাংলা! রবিবার এই সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত।
সঞ্জয় রাউত জানান, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিবসেনা। টুইটে তার বার্তা, “বহু প্রতীক্ষিত খবরটা দিচ্ছি। শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ভব ঠাকরে সাথে আলোচনা করার পর শিবসেনা সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে দল লড়বে। খুব তাড়াতাড়ি আমরা কলকাতায় আসছি। জয় হিন্দ, জয় বাংলা।”
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনার বাংলায় প্রার্থী দেওয়া এবং লড়াইয়ে নামার বিধানসভার লড়াইকে আরও রোমাঞ্চকর করতে চলেছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বঙ্গ রাজনীতিতে যে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে তা-ও মনে করছেন তারা। একদিকে সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের পকেটে পুরতে নেমে পড়েছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি এবং পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। অন্যদিকে এবার হিন্দু ভোটের ভাগাভাগি করতে শিবসেনার পদার্পণ।
So, here is the much awaited update.
After discussions with Party Chief Shri Uddhav Thackeray, Shivsena has decided to contest the West Bengal Assembly Elections.
We are reaching Kolkata soon…!!
Jai Hind, জয় বাংলা !
— Sanjay Raut (@rautsanjay61) January 17, 2021
বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে আসাউদ্দিন ওয়াইসি এবং পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর লড়াইয়ে নামার ঘোষণা বেশ কিছুটা অ্যাডভান্টেজ দিয়েছিল গেরুয়া শিবিরকে একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু এখন ‘জয় বাংলা’ ডাক দিয়ে শিবসেনার লড়াইয়ে নামার ঘোষণা গেরুয়া শিবিরের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ শিবসেনা বাংলার বিধানসভায় প্রার্থী দিলে একক হিন্দু ভোটের দাবিদার আর বিজেপি থাকছে না।
পাশাপাশি শিবসেনা নেতার ‘জয় বাংলা’ ডাক অনস্বীকার্য ভাবে নজর কেড়েছে পর্যবেক্ষক মহলের। এখানে সূক্ষ্মভাবে অধুনা রাজনীতির চাণক্য শরৎ পাওয়ারের পরোক্ষ প্রভাব থাকতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের বিশেষজ্ঞরা। কারণ বর্তমানে তিনি বিরোধী শিবিরের অন্যতম গ্রহণযোগ্য মুখ। বাংলায় বিজেপিকে ঠেকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার থেকে একাধিক টিপসও নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। আর এই সবের দিকে তাকিয়ে বাংলার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন জমজমাট হওয়ার পাশাপাশি নতুন নতুন সমীকরণের মুখও দেখতে চলেছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।