Old Age Home: বাপের বাড়ি, শশুর বাড়ি থাকতেও তার কিছুই না থাকা। শেষমেষ একটি ভাড়াবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও ভাড়া দিতে না পারার কারণে একপ্রকার তাকে বের করে দেওয়া হয়। আর এর পর থেকেই ভবঘুরের মতো সিউড়ি শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ষাটোর্ধ বৃদ্ধা। পূজোর সময় তিনি এই ভাবেই ঘুরে বেড়িয়েছেন সিউড়ির বিভিন্ন জায়গা। আর এইভাবে ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়াটুকুও জোটেনি তার।
এমন পরিস্থিতিতে গত শুক্রবার দক্ষিণ তিলপাড়ার বাসিন্দা অভিজিৎ লায়েক বিষয়টি দেখতে পান। আর তারপরেই তিনি ওই বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কষ্টের কথা, অসহায় পরিস্থিতির কথা জানতে পারেন। আর এসব জানার পরই ওই বৃদ্ধার পাশে দাঁড়ান তার স্ত্রী।
অভিজিতের স্ত্রী পিয়াসী লায়েক পেশায় সিউড়ি থানার অন্তর্গত ট্রাফিক পুলিশের জুনিয়র কনস্টেবল। তার এবং তার স্বামীর বিষয়টি নজরে আসার পর তারা তড়িঘড়ি যোগাযোগ করেন আরেক লেডি কনস্টেবল ছবিলা খাতুনের সঙ্গে। যে ছবিলার রয়েছে একটি বৃদ্ধাশ্রম স্বপ্নপুরী এক্সপ্রেস (Old Age Home)।
ছবিলার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরই ছবিলা ওই বৃদ্ধাকে নিজের বৃদ্ধাশ্রমে রাখার জন্য রাজি হয়ে যান। আর বৃদ্ধাশ্রমে (Old Age Home) রাখার ক্ষেত্রে যে সকল নিয়ম দরকার সেই নিয়ম অনুযায়ী পিয়াসী এবং তার স্বামী অভিজিৎ দুজনে একটি দরখাস্ত লিখে আবেদন জানান। এসব শেষে চার দিন না খাওয়া, ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়ানো ওই বৃদ্ধার এখন পার্মানেন্ট ঠিকানা হয়ে দাঁড়ায় ছবিলা খাতুনের স্বপ্নপুরী এক্সপ্রেস।