নিজস্ব প্রতিবেদন : সম্প্রতি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পত্তির মালিকদের তালিকা নাম উঠেছে ভারতের মুকেশ আম্বানি। গত শুক্রবার তার শেয়ারের মূল্য বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়ার পর তিনি এই তকমার অধিকারী হন। তবে এই ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সম্পত্তির মালিক এর তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইলন মাস্ক। স্পেসএক্স’র (Space X) মালিক এলন মাস্ক (Elon Musk) বর্তমানে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করে রয়েছে। এবার তিনি তৈরি হচ্ছেন বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার জন্য।
বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট পরিষেবা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার জন্য ‘মহাপ্ল্যান (Mahaplan)’ নিয়ে হাজির হয়েছেন ইলন মাস্ক। ইতিমধ্যেই ভারত-আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করে এই প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছে তার সংস্থা বলেই সূত্রের খবর। আর এই ‘মহাপ্ল্যান (Mahaplan)’ প্রকল্প ভারতে চালু হলে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হবেন মুকেশ আম্বানি এবং তার সংস্থা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইলন মাস্ক হলেন পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে মহাকাশে থাকা এক চতুর্থাংশ স্যাটেলাইটের মালিক। এখানেই শেষ না, এর পাশাপাশি তিনি আরও একাধিক স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে রয়েছেন। ১২০০০ স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট মহাকাশে তিনি পাঠাবেন বলেই সূত্রের খবর। আর এর ফলশ্রুতি হিসেবে বিশ্বজুড়ে আরও দ্রুত ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যাবে।
ইলন মাস্ক মহাকাশে যে ১২০০০ স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন সেই লক্ষ্যমাত্রায় তিনি সফল হলে পৃথিবী থেকে স্যাটেলাইট হয়ে সিগনাল ফিরে আসার সময় অনেকটাই কমে যাবে। যার ফলশ্রুতি হিসাবেই কয়েকগুণ বেড়ে যাবে ইন্টারনেট পরিষেবার গতি। তবে আবার একই রকম পরিষেবার পরিকল্পনা নিয়েছেন আরও এক ধনী ব্যক্তি জেফ বেনজোর।
এই প্রতিযোগিতায় তার হাতেই সবচেয়ে বেশি রাশ থাকবে যিনি সবচেয়ে বেশি স্যাটেলাইটের অধিকারী। যে কারণে ইলন মাস্ক এবং জেফ বেনজোর মধ্যে স্যাটেলাইট নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার মতই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এই সকল স্যাটেলাইট যদি পরিষেবা দিতে শুরু করে ভারতের মতো দেশে তাহলে প্রবল প্রতিদ্বন্দিতা এবং ক্ষতির মুখে পড়তে হবে মুকেশ আম্বানিকে বলেই মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলের তরফে।
কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের সবচেয়ে আগে এবং সবচেয়ে বড় 4G নেটওয়ার্ক হল মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থার। তারাই আবার দেশে প্রথম 5G পরিষেবা লঞ্চ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এমত অবস্থায় ইলন মাস্কের মহাপ্ল্যান পরিষেবা চালু হলে ভারতের টেলিকম সংস্থাগুলি একপ্রকার উঠে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই ভারতে স্পেসএক্সের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করা শুরু করতে পারে। এমনই পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেই জানিয়েছেন সংস্থার এক শীর্ষ কর্মকর্তা।