৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বমানের স্টেশন হবে বোলপুর, থাকবে এই সকল সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের রেল পরিষেবাকে প্রতিনিয়ত উন্নত থেকে উন্নততর করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। গণপরিবহনের এই মেরুদন্ড রেল পরিষেবার গুরুত্বের দিকে তাকিয়ে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এমন নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

এই সকল পদক্ষেপের মধ্যে এবার বিশ্বমানের স্টেশন তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বোলপুর রেলস্টেশনকে। কলকাতা এবং আসানসোলের পর বিশ্বমানের এই স্টেশন তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বোলপুর ছাড়াও রানীগঞ্জ, বহরমপুর কোর্ট এবং সুলতানগঞ্জকে। বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে পর্ষদে। অনুমোদন এলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে ভিপিআর তৈরির কাজ।

পূর্ব রেলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার আশিস ভরদ্বাজ এই বিষয়ে সর্বভারতীয় একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “পূর্ব রেলের ১০টি স্টেশনকে বিশ্বমানে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত কার্যকরী হতে চলেছে। এই ১০টির মধ্যে আসানসোল, ভাগলপুর এবং হাওড়ার ক্ষেত্রে টেন্ডার করে ডিপিআর তৈরি হয়েছে। বাকি স্টেশনগুলির ডিপিআরও দ্রুত হয়ে যাবে।”

এই সকল প্রতিটি স্টেশন নতুনভাবে বিশ্বমানের তৈরি করার ক্ষেত্রে খরচ হবে আনুমানিক ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা। কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে সময় লাগতে পারে তিন বছর। এক্ষেত্রে যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলি যা তৈরি হবে তা কেতাদুরস্ত, অত্যাধুনিক বিমানবন্দরের সমতুল্য। বর্তমানে স্টেশনে প্রবেশ এবং প্রস্থান করার ক্ষেত্রে এক গেট ব্যবহার করা হলেও পরবর্তীতে তা আলাদা করে দেওয়া হবে।

বিশ্বমানের এই সকল স্টেশনে যাত্রীদের উঠা নামার ক্ষেত্রে সিঁড়ির পাশাপাশি থাকবে এস্কেলেটর, লিফ্ট। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য থাকবে আলাদা ব্যবস্থা। কোন প্লাটফর্মে ট্রেন আসছে তা সময় সহ সরণি দেখানো হবে মনিটরে। যাতে করে যাত্রীদের কোনরকম অসুবিধা না হয়। কাঁচের ঘরে বসে ট্রেন চলাচল দেখতে পাবেন যাত্রীরা এবং যে সকল ভোজনালয় রয়েছে তার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। এছাড়াও স্টেশনের মধ্যেই শপিংমল তৈরি করা হবে। যে শপিংমলে যাত্রীরা ছাড়াও বাইরের মানুষও কেনাকাটা করতে পারবেন। পাশাপাশি এই সকল স্টেশন সম্পূর্ণভাবে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকার পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।