২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর বিধানসভা নির্বাচনের কথা মনে আছে নিশ্চয় সকলের। নির্বাচনী তালিকা প্রকাশের পর সর্বত্র হইচই পড়ে যায়। সংবাদমাধ্যম ছেয়ে যায় এই খবরে। আর সেই খবরটি হলো, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহল থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই বেশ অবাক হয়ে যায়।
এক সাক্ষাৎকারে সুজাতা মণ্ডলকে প্রশ্ন হয় তিনি কিভাবে রাজনৈতিক ও ব্যাক্তিগত জীবন ব্যালেন্স করবেন? এর উত্তরে সুজাতা বলেছিলেন, কোনওভাবেই তিনি তার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবন এক হতে দেবেন না। তিনি তার স্বামী সৌমিত্রকে ভালোবাসেন। তাই তিনি বাড়িতে সংসার ধর্ম পালন করবেন আর রাজনীতি করবেন বাড়ির বাইরে।
তবে, সুজাতা মণ্ডলের লেখা একটি চিঠিকে নিয়ে এক সময় বেশ শোরগোল বেঁধেছিলো। যেটি তিনি গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লিখেছিলেন তার স্বামী সৌমিত্র খাঁকে। সেই চিঠিতে তিনি তাকে যেনো সল্টলেকের ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেওয়া হয় সেই অনুরোধ করেছিলেন তার স্বামীকে। আর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে, তাঁকে কেউ যেনো তার স্বামী সৌমিত্রকে ছেড়ে চলে যেতে না বলেন সে কথাও লিখেছিলেন।
যদিও পরে নিজের বাক্যে স্থির থাকতে পারেননি সুজাতা মণ্ডল। সম্প্রতি তিনি একাধিক অভিযোগ করেছেন সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সৌমিত্র খাঁয়ের হঠাৎ এতো সম্পত্তি বৃদ্ধি পেল কি করে? এছাড়াও তিনি বলেন, তার স্বামীর একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক আছে। চরিত্রেও নাকি দোষ আছে তার। যদিও এই প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি সৌমিত্র।
বিধানসভা নির্বাচনের সময়ই সংবাদ মাধ্যমের সামনে সৌমিত্র বলেছিলেন, তিনি সুজাতাকে ডিভোর্স দেবেন। কিন্তু তখন রাজি না হলেও বর্তমানে সুজাতা রাজি হয়ে যায়। তাই মঙ্গলবার মিউচুয়াল ডিভোর্স চেয়ে বাঁকুড়া জেলা আদালতে যান সুজাতা। এদিকে শোনা যাচ্ছিল সুজাতা মণ্ডল নাকি মোটা অঙ্কের খোরপোষ চেয়েছেন। কিন্তু সত্যিটা কি জানা যায়নি। এই বার এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যে বলেন, তিনি কোনো টাকা চাননি। সমস্ত আইনি জটিলতা কেটে গেলে তিনি সবকিছু প্রকাশ্যে জানাবেন। আর তিনি এও বলেন যে, তিনি খোরপোষ হিসেবে কোনো টাকা চাননি। খরপোষ না চাওয়াটাই এখন অবাক করা বিষয়।