অজয়, অভিষেকের হয় নি, শেষে সঞ্জয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী, তারপরেও..

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন কারিশমা কাপুর। বলিউডের স্টার কিডদের মধ্যে একজন হলেন তিনি। তবে বাস্তব জীবনে একটুও শান্তি পাননি তিনি। অজয় দেবগন থেকে শুরু করে অভিষেক বচ্চন, তাদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো থেকে শুরু করে ব্রেকআপ। তারপর সঞ্জয় কাপুরকে বিয়ে করেও শান্তি পাননি তিনি।

অভিনেত্রীর বাবা হলেন রণধীর কাপুর, যিনি কিনা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন এবং অভিনেত্রীর মা হলেন ববিতা কাপুর যিনি ও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাই বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে খুব একটা কাঠখোর পোড়াতে হয়নি তাকে। ১৯৯১ সালে তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় জগতে পা রাখেন।

তার প্রথম ছবি হল প্রেম কয়েদি এবং তার পর থেকে একের পর এক হিট হিট ছবি করে বলিউডে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নেন। তার জনপ্রিয় সব ছবিগুলি হল, কুলি নাম্বার ওয়ান, রাজাবাবু, রাজা হিন্দুস্তানি, দিল তো পাগল হে, হিরো নাম্বার ওয়ান প্রভৃতি। রিল লাইফে দারুণভাবে প্রতিষ্ঠা পেলেও কারিশমার রিয়েল লাইফ কিন্তু খুবই জটিল, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

১৯৯২ সালে অজয় দেবগনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান কারিশমা কাপুর। তবে সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে জানা যায় যে, একদিন রাতে অভিনেত্রী অজয়কে ফোন করলে তার পাশে এক মহিলার কন্ঠ শোনা যায়। এবং সেই কারণেই তাদের বিচ্ছেদ হয়। তাদের বিচ্ছেদের পরে ১৯৯৫ সালে অজয় দেবগন কাজলকে বিয়ে করেন। তবে থেমে থাকেননি কারিশমাও।

অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ফের সম্পর্কে জড়ান অভিনেত্রী। অভিষেকের বোন শ্বেতা নন্দার বিয়ের সময় তাদের প্রথম আলাপ হয় এবং তারপরেই সম্পর্কে জড়ান এই দুই তারকা। ২০০২ সালে তাদের বাগদানও হয়ে যায়। তবে অভিষেকের পরপর ছবির ফ্লপ হওয়ার জন্য কারিশমার মা ববিতা তাদের এই সম্পর্কে পিছপা হন এবং সেই কারণে জয়া ববচ্চও রেগে যান। তারপরেই তাদের বিয়ে ভেঙে যায়। শেষে শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুড়ের সঙ্গে বিয়ে হয় কারিশমার। কিন্তু তাতেও শান্তি পাননি এই অভিনেত্রী। ২০১৬ সালে তাদের ডিভোর্স হয়।