কোষাগারে টাকা আসার নতুন রাস্তা তৈরি করল রাজ্য সরকার। এবার থেকে বেশ কয়েকটি কাজ করতে গেলে সরকারের অনুমতি তো নিতেই হবে। সঙ্গে সরকারকে তার জন্য দিতে হবে ফি। এতদিন যেগুলি শুধুমাত্র সরকারের অনুমতি পেলেই করা যেত, এবার সেই কাজগুলি করতে গুনতে হবে মোটা অংকের টাকা।
কোষাগারে আয় বাড়াতেই নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত নবান্নের নতুন এই সিদ্ধান্তে আবাসন শিল্প বা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের ওপর পড়বে এই বাড়তি টাকার ভার। এতদিন যে কাজগুলি করতে হলে শুধুমাত্র রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি নিতেন এবার সেই অনুমতি পেতে গেলে ফি দিতে হবে নবান্নকে।
যদিও ফি এর পরিমাণ কতটা হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু পরিষ্কার করে জানায় নি নবান্ন। তবে খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, বাণিজ্যিক নিয়ম মেনে ফি পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। ছোট জমির ক্ষেত্রে এই ফি অবশ্যই কম হবে। তবে শিল্প বা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ফি পরিকাঠামো হবে অন্যরকম।
সম্প্রতি একটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, লিজে নেওয়া সরকারি জমি ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বন্ধক রাখতে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি নিতে এ বার থেকে ফি দিতে হবে। মূলত শিল্প, আবাসন বা বাণিজ্যিক কাজে দীর্ঘমেয়াদি লিজে নেওয়া সরকারি জমির ক্ষেত্রে এই নীতি চালু হচ্ছে। এ ছাড়াও রাজ্য সরকারের কাছ থেকে শিল্প বা বাণিজ্যিক কাজে নেওয়া জমি হস্তান্তরেও লাগবে ফি।
এতদিন এমন বন্ধকে সরকারের অনুমতি পেতে ফি দিতে হতো না। তবে আবাসন বা বেসরকারি শিল্পতালুকে জমি হস্তান্তরে ফি দিতে হবে না। আয় বাড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। জমি বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে আইনি বাধা নেই। তবে রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হতো। এখন সেই অনুমতি নিতে ফি লাগবে।