Know about type of scooter tyre: যদি স্কুটারে কখনো কিছু খারাপ হয় চিন্তায় পড়ে যায় স্কুটারের মালিক। অনেকের কাছেই তাদের স্কুটার খুব প্রিয়। কারণ বহু মানুষের কাছে নিত্য যাতায়াতের জন্য একমাত্র ভরসা এই হালকা ফুলকা টু হুইলারটি। কিন্তু সেটিও যদি বিকল হয়ে পড়ে তাহলে মানসিক শান্তি তো নষ্ট হয়ই, বরং জলের মতো খরচ হয়ে যায় টাকা। তাই শুধুমাত্র স্কুটার যত্নে রাখার জন্য সেটি সাবধানে চালালেই হবে না, তার চাকার প্রতি দিতে হবে সমান নজর।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, প্রত্যেক স্কুটারের চাকাতেই (Scooter Tyre) থাকে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা। সত্যি বলতে এর অর্থ জানে এমন মানুষের সংখ্যা কিন্তু হাতে গোনা। যদি আপনি জানতে পারেন এটা কী? কিংবা এই সংখ্যা বুঝলেই আপনি আপনার স্কুটার বছরের পর বছর কোনোরকম যান্ত্রিক ত্রুটি ছাড়াই চালাতে পারবেন।
সবসময়ই স্কুটারের টায়ারে (Scooter Tyre) বহু সংখ্যা এবং শব্দ লেখা থাকে। সেগুলি কিন্তু বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নির্দেশ করে থাকে। আসুন দেখে নিই কী সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। M/C -এই ধরণের শব্দ যদি থাকে তাহলে বোঝায় যে টায়ারটি কোন ধরণের যানবাহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। তবে এখানে M/C নির্দেশ করে মোটরসাইকেল। যদি স্কুটারের টায়ারে লেখা 3.00 নির্দেশ করে যে টায়ারটি আসলে কতটা চওড়া। টায়ারের এই হিসেব থাকে মিলিমিটারে এবং আকৃতির অনুপাত 100 শতাংশ। টায়ারের সাইডওয়ালের উচ্চতা এবং চওড়া একই থাকে।
টায়ারে যদি 18 লেখা থাকে তাহলে নির্দেশ করে টায়ার রিমের ব্যাসের পরিমাণ। আবার যদি 52 বা এই ধরণের শব্দ বোঝায় তাহলে টায়ারের লোড ইনডেক্স অর্থাৎ চাকাটি সর্বোচ্চ কত ওজন নিতে পারে। এখানে 30 লোড ইনডেক্স মানে সর্বোচ্চ ওজন 100 কেজি, আবার 40 মানে সর্বোচ্চ 140 কেজি ওজন এবং 52 মানে এখানে 200 কেজি সর্বোচ্চ ওজন। এরপর থাকে ‘P’ অর্থাৎ স্পিড সিম্বল। এই P নির্দেশ করে কোন স্পিডে স্কুটারটি চালানো উচিত।
আপনারা চটজলদি দেখে নিন স্পিড সিম্বল এর টেবিল
B – 50 km/h
C – 60 km/h
D – 65 km/h
E – 70 km/h
F – 80 km/h
G – 90 km/h
J – 100 km/h
K – 110 km/h
L – 120 km/h
M – 130 km/h
N – 140 km/h
P – 150 km/h
আপনি যদি টায়ারের এই ধরনের সকল সিম্বল মেনে চলেন তাহলে অবশ্যই সঠিক ওজন এবং গতি নিয়ে নিঃসন্দেহে দীর্ঘদিন স্কুটারটি চালাতে পারবেন। আপনি নিঃসন্দেহে এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন, যার ফলে আপনার স্কুটারটি যেমন খুব যত্নে থাকবে তেমনি টায়ার নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।