Basant Utsav: হোটেল বুকিং করে ফ্যাসাদে পর্যটকরা! বিশ্বভারতীর পর এবার সোনাঝুড়িতে হবে না বসন্ত উৎসব

একটা সময় ছিল যখন জেলার পাশাপাশি রাজ্য এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে দোল যাত্রার দিন বসন্ত উৎসবের আনন্দ নিতে বিশ্বভারতীতে আসতেন পর্যটকরা। দোলের দিন বিশ্বভারতীতে এতটাই ভিড় হতো যে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতন যেন পৌষ মেলার পর দ্বিতীয় জমজমাট জায়গা হয়ে উঠতো। কিন্তু ২০১৯ সালের পর থেকে সে সব অতীত হয়ে গিয়েছে।

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ২০১৯ সাল থেকে বসন্ত উৎসব ঘরোয়া ভাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং যেখানে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারে না। তবে এই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এমন বন্দোবস্ত করলেও শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরিতে আলাদাভাবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা হয়ে আসছিল। আর সোনাঝুড়ির সেই বসন্ত উৎসবের টানে পোলুপোকার মত মানুষদের ভিড় জমতে দেখা যেত।

আরও পড়ুন: Holi 2025: দেশের ৭ শহরের হোলি নামকরা, গেলে মজা আর মজা

প্রত্যেক বছর বসন্ত উৎসবের সময় বোলপুরের হোটেলগুলি চড়া দামে রুম ভাড়া দিয়ে থাকে। এই বছরও চড়া দামে রুম ভাড়া দেওয়া হয়েছে বহু পর্যটকদের। কিন্তু সেই সকল পর্যটকরা এখন রীতিমতো ফ্যাসাদে পড়ে গিয়েছেন। কেননা বিশ্বভারতীর পর এবার বসন্ত উৎসবের আয়োজন হচ্ছে না সোনাঝুরিতেও।

সোনাঝুরির হাট যেখানে বসে সেই জায়গাটি হল বনদপ্তরের। যে কারণে বনদপ্তর কোন সিদ্ধান্ত নিলেই সেই সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হয় হাট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষদের। এই বছর বনদপ্তর সোনাঝুরি এলাকায় রং খেলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করেছে। ঐদিন হাট এবং সাধারণ মানুষদের প্রবেশে কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও রঙ খেলা যাবে না বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আসলে সোনাঝুরিতে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত বসন্ত উৎসবের আয়জনের ফলে প্রচুর পরিমাণে রং খেলা হত এবং প্রচুর গাড়ি পার্কিং করা হতো। এই দুইয়ের কারণে ওই এলাকার জমি এবং গাছেদের ক্ষতি হতে দেখা গিয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই প্রাকৃতিক সম্পদ বাঁচাতে বনদপ্তর এই বছর সোনাঝুরিতে বসন্ত উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

যারা স্থানীয়ভাবে এখানে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করে আসছিলেন তারাও বনদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বসন্ত উৎসবের আয়োজন করবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে তারা আশাবাদী ঐদিন হাটে জিনিসপত্র কেনাবেচা অনেকটাই হবে। কেননা বসন্ত উৎসব অর্থাৎ রং খেলার আয়োজন হলে কেউ জিনিসপত্র কিনতেন না, রং খেলে, আনন্দ করে বাড়ি চলে যেতেন।