Sikkim Travel : এবার কি সিকিম যেতেও নিতে হবে বিশেষ অনুমতি? সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে তেমনটাই। এতদিন চীন সীমান্ত ঘেঁষা সিকিমের পর্যটন স্থলগুলিতে যেতে হলে পর্যটকদের অনুমতি নিতে হতো। সিকিমে পৌঁছে পরিচয় পত্র দিয়ে পাওয়া যেত সেই অনুমতি পত্র। তবে এবার সিকিম যাওয়ার আগেই নিতে হতে পারে অনুমতি। ফেব্রুয়ারি মাসে গঠিত নয় সদস্যের টিমের রিপোর্টের তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এমনটাই সূত্রের খবর। বাইরের মানুষজনের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে।
এতদিন মিজোরাম, নাগাল্যান্ড সহ বেশ কিছু জায়গায় যেতে হলে নিতে হত বিশেষ অনুমতি। যাকে পোশাকি ভাষায় বলা হয় ইনার লাইন পারমিট বা আইএলপি। সম্ভবত এবার সিকিম যেতেও আইএলপি নিতে হবে। সিকিমে আসা পর্যটকদের জন্য আইএলপি চালু করতে একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে বলে খবর। বাইচুং ভুটিয়া আইএলপি চালু করার দাবি তুলেছিলেন একসময়। তাছাড়াও হামারো পার্টির চেয়ারম্যানও এই দাবি তুলেছিলেন। স্থানীয় আদিবাসী জনজাতি সুরক্ষা এবং বাইরে লোকজনের আনাগোনা নিয়ন্ত্রণ করতে এমন দাবি উঠেছিল।
নাথু-লা সহ চিনের সীমান্ত ঘেঁষা এলাকায় বেড়াতে গেলে একটি বিশেষ অনুমতি নিতে হয় পর্যটকদের। নিরাপত্তাজনিত কারণেই সেই এলাকায় এক সঙ্গে বেশি মানুষকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। এবং সুরক্ষার কারণেই সেখানে যাওয়ার জন্য অনুমতি নিতে হয় পর্যটকদের। জানা গিয়েছে, শান্তা প্রধানের নেতৃত্বে ওই কমিটি তাঁদের রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই কমিটিতে ছিলেন সেখানের স্বরাষ্ট্র দফতর সহ বিভিন্ন বিভাগের সচিবরাও। এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে সিকিমের মুখ্যসচিব ভিবি পাঠকের কাছে।
জানা গিয়েছে, ওই কমিটির সদস্যরা অরুণাচল প্রদেশ, মণিপুর, মেঘলায়, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ড রাজ্য ঘুরেও এসেছেন। সেখানে আইএলপি কী করে দেওয়া হয় এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা কী তাও খতিয়ে দেখেছেন তাঁরা। সিকিমে ILP চালু করার সম্ভাবনা কতটা এবং এটা চালু করা হলে উত্তরপূর্ব ভারত সহ অন্য এলাকায় কী প্রভাব পড়তে পারে তাও দেখেছেন তাঁরা। সিকিমের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে মুখ্যমন্ত্রী এবং অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। তারপরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।