নিজস্ব প্রতিবেদন : BCCI অর্থাৎ বোর্ড কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া, এই নামটিই যেন ক্রিকেট বিশ্বে যথেষ্ট। ক্রিকেট বিশ্বে বিসিসিআইয়ের সব ধরনের টিম যেমন বিশ্ব মাতাচ্ছে ঠিক সেই রকমই এবার সম্পত্তিতেও বিশ্ব কাঁপাচ্ছে বিসিসিআই। সম্প্রতি সেই রকমই একটি হিসেব সামনে এসেছে এবং সেই হিসেবে দেখলে লজ্জা পেতে হবে বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ডগুলিকে। বিসিসিআইয়ের যে সম্পত্তি (BCCI Property) সামনে এসেছে তা থেকে স্পষ্ট, তাদের সম্পত্তির ধারে কাছে নেই অন্য কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ড।
এমনিতেই ভারতের ক্রিকেট বোর্ডকে বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড হিসাবে বরাবর তকমা দেওয়া হয়ে থাকে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেটারদের বেতনও অন্যান্য দেশের খেলোয়ারদের তুলনায় অনেক বেশি। আর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এমন সম্পত্তির পিছনে ইদানিংকালে রোজগারের সবচেয়ে বড় বড় যে সকল রাস্তা তৈরি হয়েছে সেগুলি হল আইপিএল (IPL), ডব্লিউপিএল (WPL) এবং ভারতে আয়োজিত ক্রিকেট। এছাড়াও খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে ভারত আইসিসির টুর্নামেন্ট আয়োজন করেও থাকে।
সম্প্রতি একটি রিপোর্টের মাধ্যমে বিসিসিআইয়ের মোট সম্পত্তির বিষয়টি সামনে এসেছে। সেই সম্পত্তির বিষয়টি সামনে আসতেই দেখা যাচ্ছে, জয় শাহর বিসিসিআইয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের সম্পত্তি থেকে এক বা দুই গুণ নয়, একেবারে ২৮ গুণ বেশি। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের থেকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সম্পত্তির পরিমাণ ২৮ গুণ বেশি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে টের পাওয়া যায় কত টাকার মালিক বিসিসিআই। তাদের যে সম্পত্তি রয়েছে তাতে অন্যান্য কোন দেশের ক্রিকেট বোর্ড ধারে কাছে নেই।
আরও পড়ুন ? ২০২৭ এর ক্রিকেট বিশ্বকাপের নিয়মে আসছে বদল! খেলতে হবে এই নতুন নিয়মে
সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২.২৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ তা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৮,৭০০ কোটি টাকা। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের সম্পত্তির পরিমাণ সম্পর্কে যা জানা গিয়েছে তা হলো ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৬৬০ কোটি টাকা। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের সম্পত্তির পরিমাণ হল ৫৯ মিলিয়ন ডলার।
ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের আইপিএল-এ বিজ্ঞাপনের রাজস্ব থেকে ১০ হাজার ১২০ কোটি টাকার শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে BCCI, ফ্রাঞ্চাইজি মালিক এবং সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলি ৬৫% প্রত্যক্ষভাবে উপার্জন করেছে। গত আইপিএল-এ কেবলমাত্র বিজ্ঞাপনের টাকা ছিল আনুমানিক ৪৩০ কোটি টাকা। বাকি টাকা পরোক্ষভাবে উপার্জন করেছে আইপিএল।