Ganga Bank Decoration: সেজে উঠছে ব্যারাকপুরের গঙ্গার পাড়, খরচ ২০ কোটি, জানুন কবে শেষ হবে কাজ

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

Barrackpore’s Ganga bank are getting decorating with the help of the government: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য নানা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করেছেন এর আগেও। এবার তারই উদ্যোগে সরকারি সাহায্যে সেজে উঠতে চলেছে ব্যারাকপুরের গঙ্গার পাড়। ২০১৭ সালে নিজের প্রশাসনিক কাজকর্ম সারার জন্য ব্যারাকপুরে এসে ব্যারাকপুর মঙ্গল পাণ্ডে ঘাট থেকে অন্নপূর্ণা মন্দির ঘাট পর্যন্ত টানা ১.৮ কিলোমিটার গঙ্গার পাড় (Ganga Bank Decoration) সৌন্দর্যায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। এই প্রকল্পের নাম দিয়েছিলেন ‘উৎসধারা’। কিন্তু জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা এতদিন সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

Advertisements

কিন্তু দীর্ঘ এতদিন পর জমি সংক্রান্ত জটিলতা গুলি দূর হওয়ার পরে অবশেষে ‘উৎসধারা’ প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ১.৮ কিলোমিটারের বদলে বর্তমানে ব্যারাকপুর এর গান্ধীঘাট লাগোয়া ফিডার ক্যানেল থেকে মঙ্গলধারা টুরিস্ট লজ পর্যন্ত অর্থাৎ মোট সাতশো মিটার জায়গা জুড়ে এই সৌন্দর্যায়নের কাজ করা হবে। আশা করা যাচ্ছে সমস্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সৌন্দর্যায়নের মাধ্যমে নতুন রূপ পাবে ব্যারাকপুরের গঙ্গার পাড় (Ganga Bank Decoration) সংলগ্ন এলাকা।

Advertisements

প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২০ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে গঙ্গার পাড় জুড়ে তৈরি করা হচ্ছে রাস্তা। গঙ্গার দিকে দেওয়া হচ্ছে লোহার রেলিং। গান্ধীজির স্মৃতিবিজড়িত গান্ধীঘাট ও জহরকুঞ্জ কেও সংস্কার করা হবে। গান্ধীঘাটে প্রবেশ করার গেটটি সেজে উঠবে গান্ধীজির থিমে। পাশেই নির্মিত হচ্ছে একটি দোতলা বিল্ডিং। এর একতলায় থাকবে মিউজিয়াম এবং উপর তলায় থাকবে টিকিট কাউন্টার। এই প্রকল্পের শুরু এবং শেষের সীমানা বোঝানোর জন্য একদিকে থাকবে ক্লক টাওয়ার এবং অন্য দিকে থাকবে ওবেলিক্স।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Underwater Metro: গঙ্গার নিচে ৯১ কিলোমিটার বেগে ছুটল মেট্রো! হয়ে গেল বড় পরিদর্শন, জানুন কবে মিলবে পরিষেবা

শুধু সংস্কারের কাজই নয়, গঙ্গা নদী তীরবর্তী (Ganga Bank Decoration) অঞ্চল গুলিতে তৈরি করা হবে চিলড্রেন্স পার্ক, পিকনিক স্পট, ওপেন এয়ার থিয়েটার, ফুড কোর্ট, ক্যাফেটেরিয়া, সান প্লাজা, মুন ব্রিজ, স্কাল্পচার গার্ডেন ইত্যাদি। জানা গেছে যে পার্ক নির্মাণ করা হবে সেই পার্কের মুল গেট থেকে প্রবেশ করলে প্রথমেই দেখা মিলবে ১৮ মিটার উচ্চতার ক্লক টাওয়ার। এর মাঝখানের অংশে থাকবে পিকনিক স্পট। তবে এই পিকনিক স্পটে রান্নাবান্নার ব্যবস্থা থাকবে না।

পিকনিক স্পট এর কাছেই থাকবে স্কাল্পচার গার্ডেন। এই গার্ডেনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তি স্থাপন করা থাকবে। যে স্থানটিকে সান প্লাজা হিসেবে নির্মাণ করা হবে সেখানে সূর্যের ছায়া পড়বে। পার্কের মধ্যে আবার দুটি জলাশয়ের সংযোগ ঘটিয়ে চাঁদের আদলে মুন ব্রিজ তৈরি করা থাকবে। থাকবে ফ্লোটিং ডেক। যেখানে কাঠের পাটাতনে বসে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন এই স্থানে আগত পর্যটকরা। ব্যারাকপুর ডিভিশনের পূর্ত দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় রায় বলেন “মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প উৎসধারার কাজ শুরু হয়েছে এবং জোরকদমে তা চলছে। আমরা শুধু প্রকল্পের কাজটা করছি। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে পর্যটন দপ্তরের হাতে তা তুলে দেওয়া হবে”।

Advertisements