পাড়ায় পাড়ায় এরাই রাতের পাহারাদাড়। গোটা রাত দখলের অভিযান চলে এদের। ভাবছেন কাদের কথা বলছি? এরা হল আপনার আমার পাড়ার প্রিয় সারমেয়গুলি। যাদের চিৎকারে মধ্যরাতে ঘুম ভাঙতে বাধ্য শহরবাসীর। তবে মানুষ কুকুর প্রেমী হলেও এদের চিৎকার মোটেই প্রিয় নয়।
মাঝরাতে কুকুর শুধু চিৎকার করে না, কেঁদেও ওঠে কখনো কখনো। সাধারণত কুকুর বিড়ালের কান্না অশুভ বলে মনে করা হয়। গলির মোড় থেকে মাঝরাতে বা ভোররাতে কুকুরের কান্না শুনলেই মনটা খুব কু ডেকে ওঠে। প্রিয়জনদের নিয়ে শুরু হয় দুশ্চিন্তা।
সাধারণ মানুষের বিশ্বাস রাতে কুকুররা অশরীরী আত্মা বা ভূত প্রেত দেখতে পায় আর তাতেই কেঁদে ওঠে। কিন্তু এইসব কিছুই মানুষের ভুল ধারণা যা অন্যকে আরও বিভ্রান্ত করে। এর পিছনে না আছে কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা।
বিজ্ঞান বলছে, কুকুররা মানুষের মনোযোগ কারতে ভালোবাসে। তাই তাদের এই কান্নার মাধ্যমে মানুষের মনোযোগ যাতে তাদের দিকে এসে পড়ে সেটিই চায় তারা। আবার গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, কুকুর তার পুরোনো এলাকা ছেড়ে নতুন এলাকায় থাকতে শুরু করলে মন খারাপে কেঁদে ওঠে। শীতকালের রাতে ঠান্ডাতেও অনেকসময় কেঁদে ওঠে এরা।
অনেকসময় কোনো চোট বা দুর্ঘটনার দ্বারা আঘাত পেলে কুকুর কেঁদে ওঠে রাতে। তারাও চায় তাদের পাশে তার সঙ্গী থাক অসুস্থতার সময়। আবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুকুর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। তারাও সমাজকে ভয় পেতে শুরু করে। তার জন্য মাঝরাতে তাদের কান্না বেশি শোনা যায়। সুতরাং এরপর থেকে অযথা আতঙ্কিত হবেন না কুকুরের কান্নায়।