As the only company in the country, TATA got a place in the World Most Innovative Companies list: বর্তমানে শেয়ার বাজারের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বিভিন্ন জিনিসের রপ্তানি। পাশাপাশি চাঙ্গা হয়েছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। জানলে অবাক হবেন যে অন্যান্য শক্তিশালী দেশের মতো ভারতের GDP বৃদ্ধি ঘটছে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের মতে, খুব তাড়াতাড়ি তা চীনকেও ছাপিয়ে যাবে। তা সত্ত্বেও কেন চিন্তার ভাঁজ করেছে নয়া দিল্লিতে? আসলে ভারতের বিভিন্ন শিল্প সংস্থাগুলি রফতানির বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করলেও বিশ্ব বাজারে উদ্ভাবনী সংস্থা হিসেবে সেভাবে সারা ফেলতে পারেনি। এই প্রতিযোগিতায় অনেকটাই এগিয়ে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে টাটার(World Most Innovative Companies) হাত ধরে এই মুখ রক্ষা হয়েছে ভারতের। উদ্ভাবনী সংস্থার তালিকায় ২০ নম্বর স্থানে রয়েছেন তাঁরা।
একটি মার্কিন সংস্থা সম্প্রতি বিশ্বের ৫০টি শক্তিশালী কোম্পানির উপর সমীক্ষা চালানোর পরে এই রিপোর্ট পেশ করেছে। BCG গ্লোবাল ইনোভেশন সার্ভে শীর্ষক এই সমীক্ষায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানিগুলো বর্তমানে প্রশংসা করিয়েছে গোটা বিশ্ব থেকে। তারা সৃষ্টি করছে বিভিন্ন উন্নত মানের নতুন নতুন জিনিস। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছে, আমেরিকায় এরকমের কোম্পানি রয়েছে ২৫টি। তালিকার প্রথম পাঁচটি নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর। এই তালিকার কুড়ি নাম্বারে নাম রয়েছে টাটার (World Most Innovative Companies)।
এই সার্ভে থেকে জানা যাচ্ছে যে, চিনে উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন কোম্পানির সংখ্যা মোট ৮টি। প্রথম দশমীর স্থান করে নিয়েছে বেজিংয়ের ২টি সংস্থা। তালিকায় এর পরে নাম রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ও জার্মানির একটি কোম্পানি। ইউরোপীয় বাজারগুলোতে চিনা পণ্যের আমদানি অনেকটাই কমেছে। সেরা উদ্ভাবনী সংস্থাগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বিভিন্ন অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার ল্যাপটপ প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাপল, এলন মাস্কের ব্যাটারি চালিত গাড়ির কোম্পানি টেসলা ও টেক জায়ান্ট Google। এরমধ্যে টাটার (World Most Innovative Companies) জায়গা কোথায় আসুন জেনে নিই আজকের প্রতিবেদনে।
জানলে অবাক হবেন যে বিশ্বের ৫০ টি উদ্ভাবনী সংস্থার মধ্যে ভারতের থেকে একমাত্র স্থান অধিকার করতে পেরেছে Tata গ্রুপ (World Most Innovative Companies)। ভারতের অন্যতম এই প্রাচীন কোম্পানি নাম উজ্জ্বল করেছে গোটা দেশের। এই শিল্প সংস্থার ২ ডজনের বেশি কোম্পানি বর্তমানে শেয়ার বাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। লবণ থেকে বিলাশবহুল গাড়ি, সমস্ত কিছুই তৈরি করে Tata-রা। এদের প্রথম সূচনা হয়েছিল ১৮৬৮ সাল থেকে। গোটা দেশের আম জনতার অন্যতম ভরসার কোম্পানি হল টাটা গ্রুপ।
আরও পড়ুন ? Tata Cancer Medicine: শরীরে ফিরে আসবে না ক্যান্সার, জেনে নিন টাটাদের ১০০ টাকার সেই ওষুধের নাম
এদের উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ইস্পাত কারখানা, তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা, হোটেল ও অটো মোবাইল শিল্প। পাশাপাশি তারা ২টি উড়ান সংস্থার মালিক। যদি আপনারা মার্কেট ক্যাপের ভিত্তিতে বিচার করতে চান ভারতের সবচেয়ে বড় তথ্য প্রযুক্তি কোম্পানি হল Tata কনসালটেন্সি সার্ভিস বা TCS। কোম্পানিটির মোট সম্পত্তির পরিমাণ অবাক করে দিয়েছে গোটা দেশকে। সব থেকে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো পাকিস্তানের GDP-র চেয়ে বেশি মূল্যের সম্পত্তি রয়েছে Tata-দের কাছে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো তালিকায় উদ্ভাবনী সংস্থা হিসেবে নাম না থাকলেও বিশ্বের অন্যতম ধনীদের মধ্যে দশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন রিলায়েন্স সাম্রাজ্যের মালিক মুকেশ আম্বানি। বিশ্বের ধনীদের মধ্যে তার স্থান দশম। ফোর্বসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ হল ১১৪ বিলিয়ান ডলার যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯.৪৫ লাখ কোটি টাকা। অবাক করা কাণ্ড হলো Google-র সহ প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনকে সরিয়ে দশম স্থান দখল করেছেন তিনি।