HS Question Pattern: শুধু সিলেবাস বদল নয়, এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৫০-৩০-২০% পদ্ধতিতে সাজানো হচ্ছে প্রশ্ন

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর যারা মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করবে তারা একাদশ শ্রেণীতে নতুন সিলেবাস নিয়ে পড়াশোনা শুরু করবে। তারাই হবে উচ্চ মাধ্যমিকের নতুন সিলেবাসের প্রথম পড়ুয়া। এবার সিলেবাস পরিবর্তন হওয়ার পিছনে রয়েছে পরীক্ষার পদ্ধতির পরিবর্তন। এবার মূলত সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে পড়ুয়াদের। পরীক্ষা পদ্ধতি সিলেবাস ইত্যাদির পরিবর্তন সম্পর্কে ইতিমধ্যেই উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ (WBCHSE) সমস্ত কিছু জানিয়ে দিয়েছে এবং তা সম্পর্কে প্রত্যেকেই বহু কিছু জানেন।

তবে এসবের বাইরেও নতুন একটি বিষয় সামনে এসেছে আর সেই বিষয়টি হল পরীক্ষার প্রশ্নের প্যাটার্ন (HS Question Pattern)। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মূলত এমন ধরনের প্রশ্ন তৈরি করবে যার ফলে মুড়ি মুড়কির মত নম্বর আসবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। আর এই পদ্ধতির মধ্য দিয়েই মেধা পড়ুয়াদের বেছে নেওয়া অনেক সহজ হবে।

যেমন মুড়ি ও মুড়কির দাম এক হতে পারে না ঠিক সেই রকমই একজন মেধা পড়ুয়ার সঙ্গে একজন সাধারণ পড়ুয়ার তুলনা হয়না। তবে পরীক্ষার প্রশ্নের প্যাটার্ন এমন করা হবে না যাতে করে সাধারণ পরীক্ষার্থীদেরও নম্বর পেতে খুব কষ্ট হয়। মূলত প্রশ্নপত্রের প্যাটার্নে এমন বদল আনা হচ্ছে যার পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরাও নম্বর তুলতে পারবে, ঠিক সেই রকমই আবার মেধা ছাত্র-ছাত্রীরাও নিজেদের গুণগত প্রমাণ করতে পারবে।

আরও পড়ুন 👉 Dakshineswar Metro Station: দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনের বিশেষ উদ্যোগ মেট্রো কর্তৃপক্ষের, এবার অনেক বেশি সুবিধা পাবেন যাত্রীরা

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রশ্নপত্র তৈরি করার ক্ষেত্রে মেধাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আবার মেধাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভাবা হচ্ছে না এমনটাও নয়। মূলত প্রশ্নপত্র এমন ভাবে তৈরি করা হবে যাতে করে মেধাকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের দিকটাও খেয়াল রাখা হবে। এক্ষেত্রে মুড়ি মুড়কির একদর যাতে হয়ে না যায় সেই বিষয়টি যেমন দেখা হবে, ঠিক সেই রকমই আবার সবার যাতে খুব খারাপ ফলাফল না হয় সেই বিষয়টির উপরও নজর রাখা হবে।

এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় যে পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হবে সেই পদ্ধতি অনুযায়ী ৫০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে সহজ এবং সাধারণ। ৩০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে সামান্য জটিল এবং ২০ শতাংশ প্রশ্ন থাকবে তুলনামূলক কঠিন। এই ২০ শতাংশ প্রশ্নের মধ্য দিয়েই পরীক্ষার্থীদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের পাশাপাশি যুক্তি ও বিশ্লেষণাত্বক দক্ষতাও পরখ করে দেখা নেওয়া হবে। যে সকল মেধা পড়ুয়ারা রয়েছেন তারা এই ২০ শতাংশ প্রশ্নকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের মেধা প্রকাশ করতে সুযোগ পাবে।