Kalbaisakhi: কেন এখনও ধেয়ে আসছে না কালবৈশাখী! কবে দক্ষিণবঙ্গে মিলবে দেখা, কারণ জানালেন আবহবিদরা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : কালবৈশাখী (Kalbaisakhi) ঝড় সাধারণত চৈত্র, বৈশাখ মাসেই দেখা যায়। বইয়ের পাতাতেও কালবৈশাখী ঝড়ের সময় সেই চৈত্র, বৈশাখ থাকলেও এবার কিন্তু তা মিলল না। চলতি বছর এখনো পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) মাত্র একদিন কালবৈশাখীর দেখা মিলেছে তাও আবার মাত্র কয়েকটি জায়গায়। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন এইভাবে উধাও হয়ে গেল কালবৈশাখী?

Advertisements

দক্ষিণবঙ্গে এমনিতেই চৈত্র, বৈশাখ মাস থেকেই চরম গরম শুরু হয়। আর সেই চরম গরম থেকে মাঝে মাঝেই স্বস্তি দিতে ধেয়ে আসে কালবৈশাখী। ক্ষণিকের জন্য হলেও কালবৈশাখী স্বস্তি নামিয়ে আনে বিস্তীর্ণ এলাকায়। চলতি বছর তাপমাত্রার পারদ যেখানে অধিকাংশ জেলায় ৪২ থেকে ৪৬° পর্যন্ত চলতে দেখা যাচ্ছে সেই জায়গায় একটিও কালবৈশাখীর দেখা না মেলা চরম চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisements

মূলত কালবৈশাখী ঝড়ের জন্য যে সকল অনুকূল পরিবেশের দরকার তার মধ্যে রয়েছে জলীয়বাষ্প। এই বছর এত দাবদাহের মধ্যেও কালবৈশাখীর দেখা না পাওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারণ হলো জলীয়বাষ্পের অভাব। দক্ষিণবঙ্গ সহ ঝাড়খন্ড, পাশাপাশি সমগ্র মালভূমি অঞ্চলে এখন জলীয়বাষ্পের পরিমাণ মাত্র ২০ থেকে ৪০ শতাংশের কম। যতক্ষণ না জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে ততক্ষণ কালবৈশাখীর দেখা পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Reliance Electronics Appliance: রাতের ঘুম উড়ল Samsung, LG-র! এবার কম দামে টিভি, ফ্রিজ আনছেন মুকেশ আম্বানি

আবহাবিদদের থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহেই ধীরে ধীরে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। আর জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পেতে আগামী সপ্তাহের রবিবার অর্থাৎ ৫ মে থেকে দিনের বেলায় দক্ষিণবঙ্গে মেঘের সঞ্চার হবে এবং তাপমাত্রার পারদ কিছুটা হলেও নিম্নমুখী থাকবে। তবে মেঘের সঞ্চার হলেও বৃষ্টি কতটা হবে তার কোন গ্যারান্টি দিচ্ছে না হাওয়া অফিস। আর ওই সময়েই দেখা মিলতে পারে কালবৈশাখীর।

পরিমণ্ডলে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ৭০ থেকে ৮০% এর কাছাকাছি গেলে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে দক্ষিণবঙ্গে এখন যে অবস্থা তাতে আগামী সপ্তাহ ছাড়া কোন রকম স্বস্তি মিলবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। আবার আগামী সপ্তাহের ৫ থেকে ৭ মে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও স্বস্তি ফিরে যাবে তাও নয়। তবে তাপমাত্রার পারদ যেখানে অনেকটাই বেড়েছিল সেই জায়গায় তা নেমে ৪০ ডিগ্রির নিচে থাকবে আশা করা হচ্ছে। আর চৈত্র, বৈশাখ মাসেও কালবৈশাখীর দেখা না পাওয়ার পিছনে গাছের অভাব, জলাশয়ের অভাব বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে জল, জঙ্গলের পরিমাণ না বাড়লে প্রকৃতির এমন খামখেয়ালিপনা আরও মারাত্মক আকার নেবে তার নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

Advertisements